Sunday, May 16, 2021

কোরআনই একমাত্র সত্য , যাতে কোন সন্দেহ নেই।

কোরআনই একমাত্র সত্য , যাতে কোন সন্দেহ নেই। বাকি সবকিছু অনুমান , যা অনুসরন করা উচিৎ নয়। সর্বশক্তিমান আল্লাহ কোরআনের শুরুতেই বলেছেন , 
"এ সেই কিতাব যাতে কোনই সন্দেহ নেই। পথ প্রদর্শনকারী মুত্তাকিদের জন্য ২:২"।

বিশ্বাসীদের জন্য কোরআনে বর্ণীত সকল নির্দেশ ও ঘটনা পরম সত্য , কারন তারা বিশ্বাস করে কোরআনের রচয়িতা সবজান্তা আল্লাহ। কিন্তু কোন মানুষের লেখা বই পরম সত্য হতে পারে না , কারন কোন মানুষই সবজান্তা নয়।  মানুষ যা বলে বা লেখে তা সত্য হতেও পারে , আবার নাও হতে পারে। এ কারনেই মানুষের কথা বা লেখাকে অনুমান বা ধারনা প্রসূত হিসাবে শ্রেণীভূক্ত করা হয় , পরম সত্য হিসাবে নয়। সত্য দ্বীন পরম সত্যের উপরে ভিত্তী করেই প্রতিষ্ঠীত করার জন্যই কোরআন নাযিল হয়েছে , যাতে পরকালে বিচার দিবসে মানুষের কোন ওজর আপত্তি ধোঁপে না টেকে।
সর্বশক্তিমান কোরআন নাযিল করেই ক্ষ্যান্ত হননি , এ বই কে সংরক্ষনের ব্যাবস্থা ও করেছেন , যাতে সত্য ধর্মে মানুষের তৈরি কোন বিধি নিষেধ ঢুকতে না পারে।
"আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক। ১৫:৯"
আল্লাহ তার এই জ্ঞ্যানের বই সম্পর্কে আরো বলেছেন , " নিশ্চয় যারা কোরআন আসার পর তা অস্বীকার করে, তাদের মধ্যে চিন্তা- ভাবনার অভাব রয়েছে। এটা অবশ্যই এক সম্মানিত গ্রন্থ। এতে মিথ্যার প্রভাব নেই, সামনের দিক থেকেও নেই এবং পেছন দিক থেকেও নেই। এটা প্রজ্ঞাময়, প্রশংসিত আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ। ৪১:৪১-৪২"
যে দ্বীন মানুষের মতামত ও ধারনার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত , তা নিকৃষ্ট হতে বাধ্য। কারন কোন মানুষের মতামত বা ধারনা পরম সত্য তো নয়ই , সন্দেহ মুক্ত ও নয়। এ কারনেই পরম করুনাময় আল্লাহ আমাদের আদেশ করেছেন সে সত্যকে অনুসরন করতে , যাতে কোন সন্দেহ নেই এবং অনুমান ও ধারনা থেকে দুরে থাকতে বলেছেন। অনুমান থেকে উদ্ভুত ধারনা সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন, 
" শুনছ, আসমানসমূহে ও যমীনে যা কিছু রয়েছে সবই আল্লাহর। আর এরা যারা অনুসরন করছে আল্লাহকে বাদ দিয়ে শরীকদের , তা আসলে কিছুই নয়। এরা নিজেরই কল্পনার পেছনে পড়ে রয়েছে এবং এরা অনুমান করছে। ১০:৬৬" 
এই মুশরেকদের সম্পর্কে আল্লাহ আরো বলেছেন, " এখন মুশরেকরা বলবেঃ যদি আল্লাহ ইচ্ছা করতেন, তবে না আমরা শিরক করতাম, না আমাদের বাপ দাদারা এবং না আমরা কোন বস্তুকে হারাম করতাম। এমনিভাবে তাদের পূর্ববর্তীরা মিথ্যারোপ করেছে, এমন কি তারা আমার শাস্তি আস্বাদন করেছে। আপনি বলুনঃ তোমাদের কাছে কি কোন প্রমাণ আছে যা আমাদেরকে দেখাতে পার। তোমরা শুধুমাত্র আন্দাজের অনুসরণ কর এবং তোমরা শুধু অনুমান করে কথা বল। ৬:১৪৮"
সত্যকে অনুমানের সাথে তুলনা করে আল্লাহ বলেছেন,
 " বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না। আল্লাহ ভাল করেই জানেন, তারা যা কিছু করে। ১০:৩৬" 
এই একই কথা তিনি সূরা নাজমেও বলেছেন ,
 " এগুলো কতগুলো নাম বৈ নয়, যা তোমরা এবং তোমাদের পূর্ব-পুরুষরা রেখেছ। এর সমর্থনে আল্লাহ কোন দলীল নাযিল করেননি। তারা অনুমান এবং প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে। অথচ তাদের কাছে তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে পথ নির্দেশ এসেছে। ৫৩:২৩"
 " অথচ এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান নেই। তারা কেবল অনুমানের উপর চলে। অথচ সত্যের  ব্যাপারে  অনুমান মোটেই ফলপ্রসূ নয়। ৫৩:২৮"
মহান আল্লাহ সত্য বলেন , অনুমান সত্যের বদলি হতে পারেনা!!
সমস্যা হলো অধিকাংশ মানুষ সত্যকে উপেক্ষা করে অনুমানেরই অনুসরন করে। সর্বশক্তিমান আল্লাহ সম্মানিত নবীকে সাবধান করে বলেছেন ,
" আর যদি আপনি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের কথা মেনে নেন, তবে তারা আপনাকে আল্লাহর পথ থেকে বিপথগামী করে দেবে। তারা শুধু অলীক কল্পনার অনুসরণ করে এবং সম্পূর্ণ অনুমান ভিত্তিক কথাবার্তা বলে থাকে। ৬:১১৬" 
আমাদের মুসলমানদের সমস্যা হলো , আমরা বিশ্বাস করি হাদীস বিশারদদের , যখন তারা নিশ্চয়তা দেয় শতাব্দী পর শতাব্দী  পরে সংগৃহিত বংশ পরম্পরায় প্রচলিত লোক মুখে শোনা নবীর নামে বলা কথা নির্ভুল সত্য। যদিও তাদের অনেকেই জানে , এগুলো অনুমান। যে কারনে তারা নিজেরাই এ হাদীসগুলোকে আবার জয়ীফ (দুর্বল) , সহীহ (সত্য) ও বাতিল হিসাবে শ্রেণীভুক্ত করেছে। এই বিশারদরা আমাদেরকে এই এই অনুমান নির্ভর হাদীস অনুসরন করতে বলে , যা সত্যের - কোরআনের বিকল্প হতে পারেনা।

No comments:

Post a Comment