Thursday, March 6, 2014

ইসলামের প্রথম জমানা থেকেই হাদিস বিরোধীতার শুরু

সম্প্রতি কিছু লোক আছে যারা হাদিস মানে না , তাফসির মানে না , তার পরে আবার নিজেদের মন মত কোরানের বানীর অর্থ করে। ভাবখানা আল্লাহ নতুন করে তাদের কাছে কোরান নাজিল করছে। সেটা না করে অবশ্য উপায়ও নেই , প্রচলিত কোরান , হাদিস , তাফসির গ্রহন করলে ইসলামের যে চেহারা দাড়ায় তা তাদেরকে লজ্জায় ফেলে দেয়।


যেমন একদল আছে যারা কোরানের নাসিক - মানসুক ( আয়াত রহিত/রদকরন ) মানে না। কারন এসব মানলে ইসলামের এমন চেহারা দাড়ায় যা সভ্য সমাজে গ্রহনযোগ্য হয় না। মুস্কিল হলো সাধারন মানুষ যারা কোরান হাদিস পড়ে না তারা কিন্তু এটা জানে না। আর মোল্লারা যারা এটা জানে , তারা বিষয়টি বেমালুম চেপে গিয়ে সাধারন মানুষের সামনে নাগাড়ে মিথ্যাচার করে যায়। বিষয়টা একটু ব্যখ্যা করা যাক---------

সম্প্রতি নয় , ইসলামের শুরু থেকেই হাদিস ও তাফসির না মানা মুসলমান বিদ্যমান ছিল। এদের হাতেই ছিল ইসলামের নবীর  মৃত্যু পরবর্তি শাসন ক্ষমতা। ইতিহাস থেকে জানা যায়- নবী জীবিত থাকা কালিন নবীর নির্দেশে আবুবকর ওমর সহ সকল সাহাবি তাদের কাছে রক্ষিত স্বলিখিত সকল হাদিস পুড়িয়ে ফেলেন। ওমর তার শাসনামলে সকল ধরনের হাদিস বর্ণনা ও প্রচার নিষিদ্ধ করেছিলেন। এর কারন হিসাবে তিনি বলেছিলেন মুসলমানদের জন্য আল্লাহর বই 'কোরান' যথেষ্ঠ এবং তিনি চান না মুসলমানরা পূর্বের জাতিগুলোর ন্যায় রসূলের হাদিসকে গুরুত্ব দিয়ে আল্লাহর বাণীকে গুরুত্বহীন করে ফেলুক। একারনে আমরা দেখতে পাই আবু হুরায়রা নিজেই স্বীকার করেছেন যে  বেতের ভয়ে ওমরের শাসনামলে তিনি কোন হাদিস বর্ণনা করেন নি। (উল্লেখ্য আব্বাসীয় আমলে বিব্লিওক্লাজম বা সকল বই ও গ্রন্থাগার পুড়িয়ে দেয়ার  কারনে ইসলামের শুরু থেকে পরবর্তী  ১৫০-২০০ বছরের যে ইতিহাস আমরা জানি তার সাথে সত্যের মিল সামান্যই বলে মনে হয়)

 অন্ধ বিশ্বাসের পরিবর্তে  যুক্তি ও বাস্তবতার ভিত্তিতে বিচার বিশ্লেষনের মাধ্যমে  ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত দলটি ইতিহাসে মুতাজিলা নামে পরিচিত। বলা হয়ে থাকে ইব্রাহিম নাজ্জাম নামে এক বিখ্যাত মুতাজিলা নেতা ছিলেন , যিনি কোরানই ইসলামের একমাত্র উৎস বলে প্রচার করতেন এবং প্রচন্ডভাবে হাদিস ও সুন্নাহ বিরোধী ছিলেন। বিখ্যাত ও গুরুত্বপূর্ণ সকল মুতাজিলাই কোরান অনলি মুসলমান ছিলেন।

সুন্নি ও শিয়া সুত্রানুসারে - মুতাজিলারা 'আহলে আদল ওয়া তাওহিদ' বা 'ন্যায় বিচার ও একেশ্বরবাদী' দল নামে পরিচিত। খলিফা আল মামুনের সময় মুতাজিলা মতবাদ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পায় ও বিস্তার লাভ করে। কাজি আব্দুল জব্বারের মৃত্যুর সাথে মুতাজিলাদের রাজনৈতিক প্রভাবের অবসান ঘটে। 

হাদিস বিরোধীতার সবচেয়ে পুরানো যে দলিল পাওয়া যায় , সেটা হলো ৭৬হিঃ/৬৯৫খৃঃ খলিফা আব্দুল মালেককে লেখা আব্দুল্লা ইবনে ইবাদের লেখা একটা চিঠি। উক্ত চিঠিতে কুফাবাসীদেরকে ভর্ৎসনা করা হয়েছে কোরানকে পরিত্যাগ করে হাদিসকে ধর্মের ভিত্তি হিসাবে গ্রহন করার জন্য।"তারা এমন একটি বইতে বিস্বাস করে  যা আল্লাহর থেকে নয় , মানুষের হাত দ্বারা রচিত এবং এটাকে রসূলের বাণী বলে দাবী করে।"(Michael Cook, Muslim Dogma, Cambridge University Press, Cambridge, 1981)  


আব্বাসীয় আমলে ও পরবর্তিতে সেলজুক খলিফাদের শাসনামলে হাদীস বিরোধীদের  সকল বই ও গ্রন্থাগার পুড়িয়ে দেয়ার  কারনে হাদীস বিরোধী লেখা পাওয়া যায় না। তবে এদের উপস্থিতী ও যুক্তি সম্পর্কে জানা যায় শরিয়া আইনের জনক ও প্রবর্তক ইমাম শাফেয়ীর বই 'জিমা আল ইলম' ও ইবনে কুতাইবার লেখা থেকে। তাদের লেখা থেকে জানা যায় তাদের সময়ে হাদীস বিরোধীতা ছিল সর্বব্যাপি এবং তাদের লেখায় তারা হাদীস বিরোধীদের যুক্তিকে খন্ডন করার চেষ্টা করেছেন।

 চতুর্দশ শতাব্দির দুই স্কলার আব্দুর রহমান বিন আবু বকর সুয়ুতি (লেখক 'তাদরিব আর রাওয়ি' ১৩৭৯সাল) ও ইবনে হাজার ( লেখক 'হায়দাল-সারি' ১৩৮৩সাল) এবং বিংশ শতাব্দির পাক ভারত উপমহাদেশের সাইয়িদ আহমদ খান (১৮১৭-১৮৯৮) ও মিশরের মুহাম্মদ তৌফিক সিদকির ("al-Islam huwa ul-Qur'an Wahdahu" "Islam is the Qur'an Alone"১৯২০) লেখা পাওয়া যায়। এরা সকলেই হাদীস বিরোধী ও সমালোচক ছিলেন।

বর্তমানে পাকভারতের গুলাম মুহাম্মদ পারভেজ , ডাঃ শাব্বির , মিশরের রাশাদ খালিফা , আহম্মদ মনসুর , তুরষ্কের এডিপ ইয়ুকসেল হাদীস বিরোধী লেখা ও সমালোচনার জন্য অবদান রেখেছেন।

নবী মুহাম্মদ ভবিষ্যত (গায়েব) জানতেন কী?

কোরান থেকে উত্তর -

৫:১০৯ যেদিন আল্লাহ সব পয়গম্বরকে একত্রিত করবেন, অতঃপর বলবেন তোমরা কি উত্তর পেয়েছিলে? তাঁরা বলবেনঃ আমরা অবগত নই, আপনিই অদৃশ্য বিষয়ে মহাজ্ঞানী।

৬:৫০ আপনি বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে। তাছাড়া আমি অদৃশ্য বিষয় অবগতও নই। আমি এমন বলি না যে, আমি ফেরেশতা। আমি তো শুধু ঐ ওহীর অনুসরণ করি, যা আমার কাছে আসে। আপনি বলে দিনঃ অন্ধ ও চক্ষুমান কি সমান হতে পারে? তোমরা কি চিন্তা কর না ?

৭:১৮৮ আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু যা আল্লাহ চান। আর আমি যদি গায়বের কথা জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম, ফলে আমার কোন অমঙ্গল কখনও হতে পারত না। আমি তো শুধুমাত্র একজন ভীতি প্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা ঈমানদারদের জন্য। 

১০:২০ বস্তুতঃ তারা বলে, তাঁর কাছে তাঁর পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে কোন নির্দেশ এল না কেন? বলে দাও গায়েবের কথা আল্লাহই জানেন। আমি ও তোমাদের সাথে অপেক্ষায় রইলাম।

১১:৩১ আর আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে এবং একথাও বলি না যে, আমি গায়বী খবরও জানি; একথাও বলি না যে, আমি একজন ফেরেশতা; আর তোমাদের দৃষ্টিতে যারা লাঞ্ছিত আল্লাহ তাদের কোন কল্যাণ দান করবেন না। তাদের মনের কথা আল্লাহ ভাল করেই জানেন। সুতরাং এমন কথা বললে আমি অন্যায় কারী হব।

২৭:৬৫ বলুন, আল্লাহ ব্যতীত নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে কেউ গায়বের খবর জানে না এবং তারা জানে না যে, তারা কখন পুনরুজ্জীবিত হবে।

৪৬:৯ বলুন, আমি তো কোন নতুন রসূল নই। আমি জানি না, আমার ও তোমাদের সাথে কি ব্যবহার করা হবে। আমি কেবল তারই অনুসরণ করি, যা আমার প্রতি ওহী করা হয়। আমি স্পষ্ট সতর্ক কারী বৈ নই।

 ভবিষ্যত ও ভবিষ্যতের জ্ঞান কেবল আল্লাহই জানেন এবং আমরা ততটুকুই অবগত যতটুকু আল্লাহ আয়াত/রেভেলেশনের মাধ্যমে জানিয়েছেন। (3:44, 3:179, 11:49, 12:102, 30:2, 72:26-28)

যারা হাদীসে বিশ্বাসী , তাদের জন্য একটি সহী হাদিস-

বুখারি: ভল্যুম-৯, বই-৯৩,  নং-৪৭৭

Narrated Masruq:

'Aisha said, "If anyone tells you that Muhammad has seen his Lord, he is a liar, for Allah says: 'No vision can grasp Him.' (6.103) And if anyone tells you that Muhammad has seen the Unseen, he is a liar, for Allah says: "None has the knowledge of the Unseen but Allah."

মাসরুক বর্ণনা করেছেন:

'আয়েশা বল্লেন, "যদি কেউ বলে যে মুহাম্মদ আল্লাহকে দেখেছেন, সে মিথ্যুক, কারন আল্লাহ বলেছেন: দৃষ্টিসমূহ তাঁকে পেতে পারে না (৬:১০৩)। এবং কেউ যদি তোমাদেরকে বলে যে মুহাম্মদ অদৃশ্য দেখেছেন, সে মিথ্যুক, কারন আল্লাহ বলেছেন: "আল্লাহ ছাড়া আর কারো অদৃশ্যের জ্ঞান নেই"।

Saturday, March 1, 2014

হাজার বছরের পূর্বপুরুষ ও স্কলারদের বোঁঝা

মানুষের সহজাত ধর্ম হলো বাপদাদার ধর্মকে আকড়ে থাকা এবং তাদের ধর্মীয় স্কলারদের মতামতকে অন্ধভাবে অনুসরন করে নিজের ধর্মকেই সর্বশ্রেষ্ঠ গন্য করা। আজকের মুসলমানরাও এর ব্যাতিক্রম নয় , তারা ও শয়তানের ঐ একি ফাঁদে পড়েছে। তাদের দাবী গত হাজার বছর ধরে তাদের ঈমাম ও স্কলারদের কাছ থেকে তারা যা কিছু উত্তরাধিকার সুত্রে পেয়েছে , তার সবই ইসলাম। হাজার হাজার খন্ড বই লেখা হয়েছে অতীতের এইসকল ঈমাম ও স্কলারদের ধার্মিকতা , ভক্তি ও ধর্মের জন্য অমানুষিক পরিশ্রম ও আত্মত্যাগের মহিমা বর্ননা করে। এই লোকগুলো ধার্মিক ও চিন্তায় সৎ ছিলেন কিনা তা আল্লাহ্‌ই ভালো জানেন , তবে আজকের মুসলমানদের দাবী যেহেতু তারা ধার্মিক ও অধিকাংশ মুসলমানের কাছে গ্রহনযোগ্য ছিলেন , তাই তারা যে ধর্মীয় ব্যাখ্যা ও নির্দেশনা দিয়েছেন তাই সত্য এবং এর কোন নড়চড় করা যাবে না। এই যুক্তির দুর্বলতা হলো একটি মানুষ ধার্মিক ও সৎ উদ্দেশ্যে কোন ব্যাখ্যা বা নির্দেশ দিলে সেই ব্যাখ্যা বা নির্দেশ যে সঠিক হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই , কারন তার চিন্তা বা বিশ্লেষনে ভুল থাকতে পারে। তাই যদি না হবে তাহলে তো সকল ধর্মই সঠিক , কারন প্রতিটি ধর্মের স্কলার ও নেতারা বাহ্যিক ভাবে ধার্মিক ও সৎ উদ্দেশ্য নিয়েই যার যার ধর্মের প্রচার ও প্রসার করে চলেছেন।

কোরানে আল্লাহ এই ভুল যুক্তির একটি সহজ উত্তর দিয়েছেন -
“সে সম্প্রদায় অতীত হয়ে গেছে। তারা যা করেছে, তা তাদের জন্যে এবং তোমরা যা করছ, তা তোমাদের জন্যে। তাদের কর্ম সম্পর্কে তোমাদের জিজ্ঞেস করা হবে না।” (২:১৪১)

মজার বিষয় হলো , আজকের মুসলমানরা বহুধা বিভক্ত হলেও , প্রতিটি গোষ্ঠিই কোরানকে ঐশীগ্রন্থ হিসাবে মানে। কোরান নিয়ে তাদের কোন মতভেদ নেই , মতভেদ হলো স্ব স্ব ঈমাম ও স্কলারদের নির্দেশিত পথ ও ব্যাখ্যা নিয়ে। এইসকল স্কলার ও ঈমামদের মতের উপর ভিত্তি করে একজন আরেকজনকে কাফের , যিন্দিক আখ্যা দিতে তাদের বিন্দুমাত্র বুক কাপে না। আল্লাহ্‌র বানী তাদের কাছে মুখ্য নয় , তাদের পূর্বপুরুষ ও স্কলারদের দেখানো পথই মূখ্য। তাই যখনই কোরানের আয়াত দিয়ে তাদেরকে কোন ধর্মীয় আচারানুষ্ঠানের ভুল দেখানো হয় , তখন তাদের জবাব হলো – গত হাজার বছর ধরে আমাদের পূর্বপুরুষ ও স্কলাররা যা করে চলেছেন তা ভুল হতে পারে না। এর অর্থ দাড়ায় কোরানের বানীর থেকে তাদের ঈমাম ও স্কলারদের ধারনাই বেশি সত্য।

পূর্বপুরুষ ও স্কলাররাই সঠিক , এই ধারনাই যূগে যূগে আল্লাহ্‌র বানীকে গ্রহন করতে মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা বিবেচিত হয়েছে। যখনি আল্লাহ কোন নবী বা রসূল কোন সম্প্রদায়ের কাছে পাঠিয়েছেন , তারা , “পূর্বপুরুষ ও স্কলাররাই সঠিক”, এই যুক্তিতেই ঐ নবী বা রসূলকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছেন।

“আর যখন তাদেরকে কেউ বলে যে, সে হুকুমেরই আনুগত্য কর যা আল্লাহ তা’আলা নাযিল করেছেন, তখন তারা বলে কখনো না। আমরা তো সে বিষয়েরই অনুসরণ করব, যাতে আমরা আমাদের বাপ-দাদাদেরকে দেখেছি। যদি ও তাদের বাপ দাদারা কিছুই জানতো না, জানতো না সরল পথও।“(২”১৭০)

যখন নূহ নবী তাদেরকে আল্লাহ্‌র পথে ডাকলেন , তাদের জবাব -
“….আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের মধ্যে এরূপ কথা শুনিনি।” ২৩:২৪

যখন হূদ নবী আল্লাহ ছাড়া বা আল্লাহ্‌র সাথে আর কাউকে পূজা করতে নিষেধ করলেন-
“তারা বললঃ তুমি কি আমাদের কাছে এজন্যে এসেছ যে আমরা এক আল্লাহর এবাদত করি এবং আমাদের বাপ-দাদা যাদের পূজা করত, তাদেরকে ছেড়ে দেই?” ৭:৭০

একি উত্তর নবী সালেহ ও নবী শোয়েবকে দেয়া হয়েছিল।
“…আমাদের বাপ-দাদা যা পূজা করত তুমি কি আমাদেরকে তার পূজা করতে নিষেধ কর?..” (১১:৬২)
“তারা বলল-হে শোয়ায়েব (আঃ) আপনার নামায কি আপনাকে ইহাই শিক্ষা দেয় যে, আমরা ঐসব উপাস্যদেরকে পরিত্যাগ করব আমাদের বাপ-দাদারা যাদের উপাসনা করত?…” (১১:৮৭)


ইব্রাহিম নবী যখন চাঁদ সূর্যের উপমা দিয়ে যুক্তির মাধ্যমে এক আল্লাহ্‌র পথে ডাকলেন , তাদের একটাই উত্তর -
“তারা বললঃ না, তবে আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে পেয়েছি, তারা এরূপই করত।” (২৬:৭৪)

যখনি মানুষ আল্লাহ্‌র বানীর মাধ্যমে নুতন কিছু শোনে , তখনি আশ্চর্য হয়ে তা প্রত্যাখ্যান করে , কারন তারা এমন কথা তাদের স্কলারদের কাছ থেকে কখনো শোনেনি। নবী মুহাম্মদ ও যখন কোরানের বানী প্রচার শুরু করেন , তখনো একি জবাব-
“যখন তাদের কাছে আমার সুস্পষ্ট আয়াত সমূহ তেলাওয়াত করা হয়, তখন তারা বলে, তোমাদের বাপ-দাদারা যার এবাদত করত এ লোকটি যে তা থেকে তোমাদেরকে বাধা দিতে চায়। তারা আরও বলে, এটা মনগড়া মিথ্যা বৈ নয়।” (৩৪:৪৩)

আল্লাহ্‌র এই যে বিধান (সুন্নাতাল্লাহ) এর কোন পরিবর্তন নেই। এটা সর্বযূগে একি ছিল , আছে ও থাকবে।
“পৃথিবীতে ঔদ্ধত্যের কারণে এবং কুচক্রের কারণে। কুচক্র কুচক্রীদেরকেই ঘিরে ধরে। তারা কেবল পূর্ববর্তীদের দশারই অপেক্ষা করছে। অতএব আপনি আল্লাহর বিধানে (সুন্নাতাল্লাহلِسُنَّتِ اللَّهِ ) পরিবর্তন পাবেন না এবং আল্লাহর রীতি-নীতিতে (সুন্নাতাল্লাহلِسُنَّتِ اللَّهِ ) কোন রকম বিচ্যুতিও পাবেন না।” (৩৫:৪৩)

আজ তাফসীর ও হাদীসের হাজার হাজার বইয়ের ধুলার নিচে কোরান চাপা পড়ে গেছে। এর থেকে কোরানকে মুক্ত করা এত সোজা নয়।