Wednesday, November 2, 2016

কোরান যথেষ্ঠ। (২)




বিশ্বাসীদের জন্য শুধুমাত্র আল্লাহ যেমন যথেষ্ঠ , তেমনি ধর্মীয় নির্দেশনার জন্য একমাত্র কিতাব কোরান যথেষ্ঠ।

আল্লাহ কোরানে বলেছেন , "আল্লাহ কি তাঁর বান্দার পক্ষে যথেষ্ট নন? অথচ তারা আপনাকে আল্লাহর পরিবর্তে অন্যান্য উপাস্যদের ভয় দেখায়।"(৩৯:৩৬)

 তিনি আরো বলেন ,"হে মানুষ, তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর। আল্লাহ ব্যতীত এমন কোন স্রষ্টা আছে কি, যে তোমাদেরকে আসমান ও যমীন থেকে রিযিক দান করে? তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই।  (৩৫:৩)

 আল্লাহ বিশ্বাসীদের জন্য প্রভু হিসাবে যথেষ্ঠ , "বলুনঃ আমি কি আল্লাহ ব্যতীত অন্য প্রতিপালক খোঁজব, অথচ তিনিই সবকিছুর প্রতিপালক?"(৬:১৬৪)

যতক্ষন পর্যন্ত বিশ্বাসীদের জন্য একমাত্র প্রভু আল্লাহ যথেষ্ঠ , ততক্ষন পর্যন্ত একমাত্র কিতাব কোরান ও তাদের জন্য যথেষ্ঠ। "এটাকি তাদের জন্যে যথেষ্ট নয় যে, আমি আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি, যা তাদের কাছে পাঠ করা হয়। এতে অবশ্যই বিশ্বাসী লোকদের জন্যে রহমত ও উপদেশ আছে।"(২৯:৫১)

উল্লেখ্য , উপরের সম্মানিত আয়াতগুলোতে আল্লাহ বিশ্বাসী মুসলমানদেরকে নাবোধক প্রশ্নের মাধ্যমে পরিস্কার জানাচ্ছেন যে , আল্লাহ ছাড়া তাদের যেমন অন্য কোন প্রতিপালক নেই , তেমনি কোরান ছাড়াও আর কোন কিতাব নেই। এবং এই কোরানে তাদের জন্য রয়েছে উপদেশ ও রহমত। কোরানের বাইরে মানবরচিত কোন কিতাবকে অনুসরন করার কথা কোরানের কোথাও বলা হয়নি।            চলবে....

Friday, October 28, 2016

কোরান যথেষ্ঠ। (১)



 ধর্মীয় উপদেশ , বিধি নিষেধ ও  দিগনির্দেশনা জানার জন্য কোরান যথেষ্ঠ। এটা আমার কথা নয় বা হাদীসে বিশ্বাসীদের দোষারোপ করার জন্য ও নয় , বরং  কোরানের পরিস্কার আয়াত দিয়ে বংশ পরম্পরায় প্রচলিত কুসংস্কার ও মিথ্যা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য যে সকল পাঠক এই সত্যে উপনীত হতে চায় , তাদের সাথে আলোচনা করাই এই লেখার উদ্দেশ্য।

 বর্তমানের প্রায় সকল মুসলমান বিশ্বাস করে কোরানের সাথে সাথে হাদীসকে অনুসরন করা অত্যাবশ্যক , কারন নবীর নামে প্রচলিত হাদীস কোরানের ব্যাখ্যা এবং হাদিসের মাধ্যমে আমরা নবীর সুন্নত জানতে পারি। (নবীর নামে প্রচলিত হাদীস যে নবীর নিজস্ব কথা ও নয় বা তার সুন্নত ও নয় , তা একটু পড়াশুনা বা গবেষনা করলে জানা সম্ভব। সে আলোচনা আরেকদিন।)  আরেকদল আছেন যারা বিশ্বাস করেন কোরান যথেষ্ঠ , তবে এর বাইরে হাদীস বা আলেম উলামা ও ঈমামদের লেখা বই থেকে ভাল কিছু গ্রহন করার ভিতরে দোষের কিছু নেই। কিন্তু আমরা যদি কোরানে বর্ণীত আল্লাহর পরিস্কার বাণী নিয়ে চিন্তা করি , তাহলে নিশ্চিত ভাবে জানতে পারি যে কোন মানব রচিত গ্রন্থের দরকার নেই। কারন কোরান পরিস্কার ব্যাখ্যা ও উপমা সহকারে লিখিত একটি বই এবং এতে প্রয়োজনীয় কোন কিছুই লিখতে বাদ দেয়া হয়নি। চলুন কোরানের আয়াত নিয়ে পর্যালোচনা করা যাক -

 আল্লাহ ছাড়া কোন প্রভু নেই এবং মুসলমানদের জন্য কোরান ছাড়া কোন বই নেই....

 আল্লাহ বলেছেন , " নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলের অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান তাঁরই কাছে রয়েছে। তিনি কত চমৎকার দেখেন ও শোনেন। তিনি ব্যতীত তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। তিনি কাউকে নিজ কর্তৃত্বে শরীক করেন না। আপনার প্রতি আপনার পালনকর্তার যে, কিতাব প্রত্যাদিষ্ট করা হয়েছে, তা পাঠ করুন। তাঁর বাক্য পরিবর্তন করার কেউ নাই। তাঁকে ব্যতীত আপনি কখনই কোন আশ্রয় স্থল পাবেন না।" ১৮:২৬-২৭
দেখা যাচ্ছে নবীর কাছে ও তার সাহাবিদের পাঠ করার জন্য একটিই কিতাব ছিল, সেটা কোরান। সে সময়ে বা ইসলামের প্রথম ৩০০ বছর না ছিল বুখারি মুসলিমদের হাদিস বই বা ঈমামদের কোন বই। কোরানের বাক্য পরিবর্তন করার কেউ না থাকলেও পরবর্তীরা আল্লাহর এই নির্দেশ উপেক্ষা করে কিছু কিছু আয়াতকে ঈমামরা বাতিল ঘোষনা (মানসুখ) করেছেন। আল্লাহ তার কর্তৃত্বে শরীক করেন না , এমনকি আমাদের নবীকেও। যেকারনে কোরানের আয়াত নাসেখ মানসুখ বা পরিবর্তন করার ক্ষমতা নবীর নেই।        চলবে.......