Thursday, May 13, 2021

নামাজ

 একজন লিখেছেন- পবিত্র কুরআন এ নামাজ ও এর সময় সম্পর্কে যতটুকু জানা যায়,তাতে প্রচলিত রাকাআত কিংবা   কিভাবে এটা শুরু থেকে শেষ হবে তা উল্লেখ করে বিস্তারিত লেখা নাই।শুক্রবার এ সমাবেত নামাজ এর কথা নারী পুরুষের উপর বর্তানো দেখি,একসাথে নামাজ পড়া / আর নামাজ কায়েম করা যাই বলি না কেন আসলে এটার পবিত্র কোরআনের আলোকে সমাধানের উপায় জানা থাকলে আমাকে সাহায্য করুন।প্লিজ


আমার উত্তর- 

আমি রাসুল নই বা আমার কাছে আল্লাহর ওহি আসেনা। কোরানের আলোকে আমি যা বুঝি সেটাই আপনাকে জানাচ্ছি। 


সর্ব প্রথমে আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি কোরান আল্লাহর প্রেরিত গ্রন্থ , যা স্বয়ংসম্পুর্ন এবং আল্লাহভীরুদের (মুত্তাকি) জন্য বিস্তারিত ব্যাখ্যা সহ পরকালে মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় সকল নির্দেশ কোরানে দেয়া আছে। যা কোরানে নেই তা মুসলমানের  জন্য ধর্মীয় নির্দেশ নয়। 


প্রচলিত আনুষ্ঠানিক নামাজ (সালাত) , রাকায়াত, রুকু , সিজদাহ  এবং এগুলোর বিবরন কোরানে নেই। এর অর্থ দাড়ায় , এগুলো মানুষের বানানো। এগুলো ধর্মের সরাসরি অংশ নয়। এগুলোর কোন গুরুত্ব কি আছে?  আমার মনে হয় এগুলোর পরোক্ষ গুরুত্ব আছে। যদি আমরা এই নামাজ শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তাকে স্মরন করার জন্য ও তার কাছে সাহায্যের প্রার্থনার জন্য , মন্দ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখার  জন্য , আল্লাহর গুনগান করার জন্য পড়ে থাকি। 


ভিক্ষুকরা যার যার মতো করে ভিক্ষা চায়। ভিক্ষার যেমন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই তেমনি প্রার্থনার ও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। প্রতিটি ধর্মের মানুষের প্রার্থনার নিয়ম ভিন্ন। এগুলোকে নুসুখ বলে। মুসলমানরা নামাজ পড়ে , হিন্দুরা পুজা করে , খৃষ্টানরা চার্চে ও ইহুদিরা সিনাগগে যেয়ে প্রার্থনা করে। আমি নামাজ পড়াকে নুসুখ হিসাবে দেখি। যে ভাবে যার ভাল লাগবে , সেভাবেই সে নুসুখ পালন করবে। এর কোন ধরাবাধা নিয়ম নেই। 


[5:48 আমি আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি সত্যগ্রন্থ, যা পূর্ববতী গ্রন্থ সমূহের সত্যায়নকারী এবং সেগুলোর বিষয়বস্তুর রক্ষণাবেক্ষণকারী। অতএব, আপনি তাদের পারস্পারিক ব্যাপারাদিতে আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করুন এবং আপনার কাছে যে সৎপথ এসেছে, তা ছেড়ে তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না। আমি তোমাদের প্রত্যেককে একটি আইন ও পথ দিয়েছি। যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে তোমাদের সবাইকে এক উম্মত করে দিতেন, কিন্তু এরূপ করেননি-যাতে তোমাদেরকে যে ধর্ম দিয়েছেন, তাতে তোমাদের পরীক্ষা নেন। অতএব, দৌড়ে কল্যাণকর বিষয়াদি অর্জন কর। তোমাদের সবাইকে আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। অতঃপর তিনি অবহিত করবেন সে বিষয়, যাতে তোমরা মতবিরোধ করতে।]


কোরানে যেসকল আয়াতে বলা হয়েছে পরকালে যাদের কোন ভয় নেই এবং দু:খ করা লাগবেনা , সেই সকল আয়াতের একটিতেও নামাজ পড়ার কথা বলা নেই।

No comments:

Post a Comment