(৮)
- কোরানে আমাদের মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছুই আছে , কিছুই বাদ পড়েনি
আল্লাহ বলেছেন, "...আমি কোন কিছু লিখতে ছাড়িনি (فَرَّطْنَا)৬:৩৮" এবং "...আমি আপনার প্রতি গ্রন্থ নাযিল করেছি যেটি এমন যে তা প্রত্যেক বস্তুর সুস্পষ্ট বর্ণনা, হেদায়েত, রহমত..১৬:৮৯" এবং "....এটা কোন মনগড়া হাদীস (حَدِيثًا) নয়, কিন্তু যারা বিশ্বাস স্থাপন করে তাদের জন্যে পূর্বেকার কালামের সমর্থন এবং প্রত্যেক বস্তুর বিবরণ রহমত ও হেদায়েত।১২:১১১"
৬:৩৮ আয়াতের 'ফারাতনা'র মূলে আছে ক্রিয়া পদ ফা-রা-তা ف ر ط , যার অর্থ প্রয়োজনীয় , গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাদ দেয়া , অবহেলা করা। এর পরে ও যারা কোরানকে অসম্পুর্ন , অস্পষ্ট প্রমাণ করার জন্য প্রশ্ন করে , কোরান থেকে দেখান - নামাজ কিভাবে কখন কয়বার পড়ব? ইতিকাফ কিভাবে কতদিন করতে হবে? ইত্যাদি.. তখন বলতেই হয় কোরানে যদি না থাকে , তাহলে এর উত্তর জানার দরকার নেই বা গুরুত্বপূর্ণ নয় বলেই আল্লাহ কোরানে এ সম্পর্কে লেখেন নি। কারন লিখতে চাইলে আল্লাহর কথার ও ঘাটতি পড়ত না বা কালির ও অভাব ঘটত না।
"পৃথিবীতে যত বৃক্ষ আছে, সবই যদি কলম হয় এবং সমুদ্রের সাথেও সাত সমুদ্র যুক্ত হয়ে কালি হয়, তবুও আল্লাহর কথা (كَلِمَاتُ اللَّهِ ) লিখে শেষ করা যাবে না। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।৩১:২৭)"
"বলুনঃ আমার পালনকর্তার কথা, লেখার জন্যে যদি সমুদ্রের পানি কালি হয়, তবে আমার পালনকর্তার কথা, শেষ হওয়ার আগেই সে সমুদ্র নিঃশেষিত হয়ে যাবে। সাহায্যার্থে অনুরূপ আরেকটি সমুদ্র এনে দিলেও"১৮:১০৯"
এর পরেও যারা চক্রান্ত করে কোরানকে অসম্পূর্ন , অস্পষ্ট প্রমাণ করার জন্য অবান্তর প্রশ্ন করে , তাদের জন্য-
"নিশ্চয় কোরআন সত্য-মিথ্যার ফয়সালা। এবং এটা উপহাস নয়। তারা ভীষণ চক্রান্ত করে, আর আমিও কৌশল করি। অতএব, কাফেরদেরকে অবকাশ দিন, তাদেরকে অবকাশ দিন, কিছু দিনের জন্যে। ৮৬:১৩-১৭"
"আর যারা আমার আয়াত সমূহকে ব্যর্থ করার জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়, তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি। ৩৪:৫"
No comments:
Post a Comment