মুসলমান মাত্রই সালাত বলতে বোঝে নামায পড়া। হাদিস অনুসারী মুশরিকদের প্রথম প্রশ্নই হল , "নামায পড়িস ব্যাটা? পড়লে কুরআন থেকে দেখা কোন নামায কয় রাকাত ও কিভাবে পড়তে হবে?" এই প্রশ্নের মাধ্যমে তারা কুরআনকে অসম্পুর্ন এবং হাদিস ছাড়া ইসলাম অচল এটা প্রমান করে থাকে। কুরআনকে অসম্পুর্ন প্রমান করতে চাওয়ার মাধ্যমে এরা পারতপক্ষে আল্লাহর বাণীকে অস্বীকার করে। কুরআনের ভাষ্য অনুযায়ী কাফেররাই আল্লাহর বাণী অস্বীকার করে। পড়ুন-
৬:১১৫-১১৬ "আপনার প্রতিপালকের বাণী পূর্ণ , সত্য ও সুষম। তাঁর বাক্যের কোন পরিবর্তনকারী নেই। তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী। আর যদি আপনি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের কথা মেনে নেন, তবে তারা আপনাকে আল্লাহর পথ থেকে বিপথগামী করে দেবে। তারা শুধু অলীক কল্পনার অনুসরণ করে এবং সম্পূর্ণ অনুমান ভিত্তিক কথাবার্তা বলে থাকে।"
অনেক কুরআন অনুসারীদের ইনিয়ে বিনিয়ে বলতে শুনবেন , কুরআনে নামাযের নিয়ম সব আছে। সত্য হল কুরআনে নামাযের কোন বিবরন নেই। থাকবে কি করে? থাকা সম্ভব না। কারন নামায মানুষের বানানো উপাসনার পদ্ধতি, আল্লাহর নয়। আল্লাহ মানুষকে নামায পড়তে বলেন নি।
কুরআনের আলোকে বলা যায় প্রচলিত নামায পড়া মদ খাওয়ার চেয়েও গুরুতর নেশা - পাপ। নেশা ছাড়ানো যেমন কষ্টকর , তেমনি নামায পড়া বন্ধ করা। নেশাগ্রস্থ অবস্থায় ঈমানদারদের সালাতের কাছে যেতে নিষেধ করেছেন আল্লাহ , কারন নামাযে কি বলছে তা ৯৯.৯৯% বাঙালি মুসাল্লি বোঝে না। আর নেশা , জুয়া , প্রতিমাকে আল্লাহ এড়িয়ে চলতে বলেছেন। একটি সরাসরি আল্লাহর নিষেধ , অন্যটি কল্যানপ্রাপ্ত হওয়ার উপদেশ। ভাবুন কি করবেন.....
"হে ঈমাণদারগণ! তোমরা যখন নেশাগ্রস্ত থাক, তখন সালাতের ধারে-কাছেও যেওনা, যতক্ষণ না বুঝতে সক্ষম হও যা কিছু তোমরা বলছ,.."(৪:৪৩)
"হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও।"(৫:৯০)
No comments:
Post a Comment