Sunday, December 26, 2021

আল্লাহর সাথে মুসার কথোপকথন

 প্রচলিত বিশ্বাস হল মুসা সরাসরি আল্লাহর সাথে কথা বলেছিলেন। যেমনটি আগের পোস্টে বলেছি কোরানে আল্লাহ সম্পর্কিত সবকিছুই রূপক , তেমনি আল্লাহর সাথে মুসার কথোপকথন ও রূপক। মুসা আমাদের মতোই মানুষ ছিলেন এবং কোন মানুষের জন্য এমন হওয়ার নয় যে, আল্লাহ তার সাথে কথা বলবেন। দেখুন নিচের আয়াত-


৪২:৫১ 

‎وَمَا كَانَ لِبَشَرٍ أَن يُكَلِّمَهُ اللَّهُ إِلَّا وَحْيًا أَوْ مِن وَرَاءِ حِجَابٍ أَوْ يُرْسِلَ رَسُولًا فَيُوحِيَ بِإِذْنِهِ مَا يَشَاءُ ۚ إِنَّهُ عَلِيٌّ حَكِيمٌ

কোন মানুষের জন্য এমন হওয়ার নয় যে, আল্লাহ তার সাথে কথা বলবেন। কিন্তু ওহীর মাধ্যমে অথবা পর্দার অন্তরাল থেকে অথবা তিনি কোন দূত প্রেরণ করবেন, অতঃপর আল্লাহ যা চান, সে তা তাঁর অনুমতিক্রমে পৌঁছে দেবে। নিশ্চয় তিনি সর্বোচ্চ প্রজ্ঞাময়।


আল্লাহ অবশ্যই মুসার সাথে কথা বলেছিলেন, তবে সরাসরি নয়। আল্লাহ মুসার সাথে ওহীর মাধ্যমে কথা বলেছিলেন , যেমনটি অন্যান্য রাসুল ও সাধারন মানুষের সাথে (মুসার মা) বলে থাকেন। আল্লাহর সাথে মুসার কথোপকথন যে রূপক , তা বিশ্লেষন করার আগে চলুন কোরানের কিছু আয়াত দেখি যা পড়ে আমরা জানতে পারব আল্লাহ মুসার সাথে সরাসরি নাকি ওহীর মাধ্যমে কথা বলেছিলেন -


কোরানে ৩টি সূরায় (সূরা২০ ত্বোয়া-হা, সূরা২৭ নমল, সূরা২৮ আল কাসাস) আল্লাহর সাথে মুসার একই কথোপকথন নিয়ে বিশদ বর্ণনা আছে। আয়াতগুলো পড়লে মনে হবে আল্লাহ সরাসরি মুসার সাথে কথা বলছেন। 


২০:১১ فَلَمَّا أَتَاهَا نُودِيَ يَا مُوسَىٰ

অতঃপর যখন তিনি ( আগুনের কাছে ) আসলেন, তখন আওয়াজ আসল হে মূসা

২০:১২ إِنِّي أَنَا رَبُّكَ فَاخْلَعْ نَعْلَيْكَ ۖ إِنَّكَ بِالْوَادِ الْمُقَدَّسِ طُوًى

আমিই তোমার পালনকর্তা, অতএব তুমি জুতা খুলে ফেল, তুমি পবিত্র উপত্যকা তুয়ায় রয়েছ।

২০:১৪ إِنَّنِي أَنَا اللَّهُ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا أَنَا فَاعْبُدْنِي وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي

আমিই আল্লাহ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম কর।


২৭:৮ فَلَمَّا جَاءَهَا نُودِيَ أَن بُورِكَ مَن فِي النَّارِ وَمَنْ حَوْلَهَا وَسُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ

অতঃপর যখন তিনি (আগুনের কাছে) আসলেন তখন আওয়াজ হল ধন্য তিনি, যিনি আগুনের স্থানে আছেন এবং যারা আগুনের আশেপাশে আছেন। বিশ্ব জাহানের পালনকর্তা আল্লাহ পবিত্র ও মহিমান্বিত।

২৭:৯ يَا مُوسَىٰ إِنَّهُ أَنَا اللَّهُ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ

হে মূসা, আমি আল্লাহ, প্রবল পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।


২৮:৩০ فَلَمَّا أَتَاهَا نُودِيَ مِن شَاطِئِ الْوَادِ الْأَيْمَنِ فِي الْبُقْعَةِ الْمُبَارَكَةِ مِنَ الشَّجَرَةِ أَن يَا مُوسَىٰ إِنِّي أَنَا اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ

যখন সে তার (আগুনের) কাছে পৌছল, তখন পবিত্র ভূমিতে অবস্থিত উপত্যকার ডান প্রান্তের বৃক্ষ থেকে তাকে আওয়াজ দেয়া হল, হে মূসা! আমি আল্লাহ, বিশ্ব পালনকর্তা।


আল্লাহর সাথে মূসার কথোপকথন সরাসরি হলে ৩টি সূরাতেই "হে মূসা! আমি আল্লাহ" বলার পরের বাক্যগুলি (word) একই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেখুন বাক্যগুলো এক নয়। এগুলো এক নয় কারন এ কথা ওহীর মাধ্যমে হয়েছিল। এবং আল্লাহ সূরা ত্বোয়া-হা তে "হে মূসা," এবং "আমিই আল্লাহ" বলার মাঝে ২০:১৩ আয়াতে বলে দিয়েছেন এটা ওহী , যা আমাদের আলেমদের চোখ এড়িয়ে গেছে। 


২০:১৩ وَأَنَا اخْتَرْتُكَ فَاسْتَمِعْ لِمَا يُوحَىٰ

এবং আমি তোমাকে মনোনীত করেছি, অতএব যা প্রত্যাদেশ করা হচ্ছে(يُوحَىٰ ওহী), তা শুনতে থাক।


অনেকেই আল্লাহ মুসার সাথে সরাসরি কথা বলেছেন তার প্রমান স্বরুপ ৪:১৬৪ আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে থাকেন।  ৪:১৬৪ আয়াতে, "কাল্লামা আল্লাহু মুসা তাকলিমান" প্রায়শই 'আল্লাহ সরাসরি মুসার সাথে কথা বলেছেন' হিসাবে অনুবাদ করা হয়, কিন্তু এটি ভুল অনুবাদ। 'কাল্লামা' ক্রিয়াপদ থেকে উদ্ভুত বিশেষ্য 'তাকলিমা' দ্বারা ঐ ক্রিয়ার উপর আরবীতে বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে। কাল্লামা আল্লাহু মুসা তাকলিমান, মানে 'আল্লাহ মুসার সাথে ব্যাপকভাবে কথা বলেছেন'। বাংলায় যেমন বলা হয় - "কত কথা কইছে বা কি মার মারছে"। আরবি ব্যাকরণে ও প্রায়শই এমন তুলনা করা হয়, 'দারাবাহু দারবান', যার অর্থ 'তিনি তাকে কঠোর প্রহার করেছেন', 'তিনি তাকে সরাসরি মেরেছেন' নয়।


এটি আক্ষরিক কথোপকথন না হওয়ার আরেকটি কারণ হল, এটি অবশ্যই কুরআনের বাকি অংশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।


এই একই আয়াতে (৪:১৬৪) ‘কাসা' ক্রিয়াপদটি সকল রাসূলের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে, যার অর্থ 'বর্ণনা করা', । আপনি যদি প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে,  আল্লাহ আক্ষরিক অর্থে মূসার সাথে কথা বলেছিলেন বলে মেনে নেন এবং আপনি যদি আপনার পদ্ধতিতে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে চান তবে আপনাকে এই 'কাসা' (এবং 20:19 এবং 20:36 এ ক্বালা) সকল নবী রাসূলের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে হবে। যদি আপনি এটি করেন, তাহলে মুসাই একমাত্র রাসূল যিনি সরাসরি আল্লাহর সাথে কথা বলেছিলেন এই দাবী ধোঁপে টিকবে না। চলুন দেখা যাক ইব্রাহিমের সাথে আল্লাহর কথোপকথন- 


২:২৬০ আর স্মরণ কর, যখন ইব্রাহীম বলল, হে আমার পালনকর্তা আমাকে দেখাও, কেমন করে তুমি মৃতকে জীবিত করবে। বললেন; তুমি কি বিশ্বাস কর না? বলল, অবশ্যই বিশ্বাস করি, কিন্তু দেখতে এজন্যে চাইছি যাতে অন্তরে প্রশান্তি লাভ করতে পারি। বললেন, তাহলে চারটি পাখী ধরে নাও। পরে সেগুলোকে নিজের পোষ মানিয়ে নাও, অতঃপর সেগুলোর দেহের একেকটি অংশ বিভিন্ন পাহাড়ের উপর রেখে দাও। তারপর সেগুলোকে ডাক; তোমার নিকট দৌড়ে চলে আসবে। আর জেনে রাখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী, অতি জ্ঞান সম্পন্ন।

২০:১১ فَلَمَّا أَتَاهَا نُودِيَ يَا مُوسَىٰ
অতঃপর যখন তিনি ( আগুনের কাছে ) আসলেন, তখন আওয়াজ (নুদিয়া) আসল হে মূসা। 

20:11, 28:30 এবং 27:8 এ 'নাদা' শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে, যার অর্থ 'ডাকা' (নাম ধরিয়া বা উচ্চস্বরে)। একটি জায়গারও নামকরণ করা হয়েছে, যেখান থেকে এই ডাক এসেছে। এটাও রূপক। কারণ?

20:10 থেকে 20:14 আয়াতের মধ্যে এটা বোঝানো হয়েছে এই 'ডাকা' কি রূপ ছিল। যত্ন সহকারে পড়ুন:

২০:১০ إِذْ رَأَىٰ نَارًا فَقَالَ لِأَهْلِهِ امْكُثُوا إِنِّي آنَسْتُ نَارًا لَّعَلِّي آتِيكُم مِّنْهَا بِقَبَسٍ أَوْ أَجِدُ عَلَى النَّارِ هُدًى
তিনি যখন আগুন দেখলেন(রায়া), তখন পরিবারবর্গকে বললেনঃ তোমরা এখানে অবস্থান কর আমি আগুন দেখেছি(আনাস্তু)। সম্ভবতঃ আমি তা থেকে তোমাদের কাছে কিছু আগুন জালিয়ে আনতে পারব অথবা আগুনে পৌছে পথের সন্ধান পাব।
২০:১১ فَلَمَّا أَتَاهَا نُودِيَ يَا مُوسَىٰ
অতঃপর যখন তিনি আসলেন, তখন আওয়াজ (নুদিয়া) আসল হে মূসা,
২০:১২ إِنِّي أَنَا رَبُّكَ فَاخْلَعْ نَعْلَيْكَ ۖ إِنَّكَ بِالْوَادِ الْمُقَدَّسِ طُوًى
আমিই তোমার পালনকর্তা, অতএব তুমি জুতা খুলে ফেল, তুমি পবিত্র উপত্যকা তুয়ায় রয়েছ।
২০:১৩ وَأَنَا اخْتَرْتُكَ فَاسْتَمِعْ لِمَا يُوحَىٰ
এবং আমি তোমাকে মনোনীত করেছি, অতএব যা প্রত্যাদেশ (ওহী) করা হচ্ছে, তা শুনতে থাক।
২০:১৪ إِنَّنِي أَنَا اللَّهُ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا أَنَا فَاعْبُدْنِي وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي
আমিই আল্লাহ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম কর।

অনুবাদের সময় ব্রাকেটে কিছু আরবি শব্দ রেখে দিয়েছি। এর তাৎপর্য আছে। আগুন দেখলেন(রায়া) , এই দেখাটা অন্তর্চক্ষু দিয়ে দেখা। রায়া মানে অন্তর্চক্ষু বা স্বপ্নে দেখা। সরাসরি চোখে দেখার জন্য কোরানে 'বাছারা /بصر ব্যবহৃত হয়েছে। 

আমি আগুন দেখেছি(আনাস্তু) - আনাস্তু মানে উপলব্ধি করা/টের পাওয়া। 

এই 'কথোপকথন' নিয়ে আরও অদ্ভুত কিছু ঘটেছে। এটি 'আগুন' থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং এটি একটি 'পবিত্র উপত্যকায়' ঘটেছে।

28:30-এ, এই 'আওয়াজ/ডাক' পুনরাবৃত্তি হয়, আরেকটি অদ্ভুত জায়গা থেকে:

২৮:৩০ فَلَمَّا أَتَاهَا نُودِيَ مِن شَاطِئِ الْوَادِ الْأَيْمَنِ فِي الْبُقْعَةِ الْمُبَارَكَةِ مِنَ الشَّجَرَةِ أَن يَا مُوسَىٰ إِنِّي أَنَا اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ
যখন সে তার (আগুনের) কাছে পৌছল, তখন পবিত্র ভূমিতে অবস্থিত উপত্যকার ডান প্রান্তের বৃক্ষ থেকে তাকে আওয়াজ দেয়া হল, হে মূসা! আমি আল্লাহ, বিশ্ব পালনকর্তা।

পবিত্র বা বরকতময় স্পট, একটি অনুভূত আগুন (কিন্তু এটি কি আগুন ছিল?), আওয়াজ , ওহী , ... এ সমস্ত উপাদান একত্রে নিশ্চিত করে যে এটি রূপক।

{২০:১৪ আয়াতে মুসাকে আল্লাহর স্মরনার্থে নামাজ কায়েম করতে বলা হয়েছে। এটা কোন নামায? আমরা যাকে নামায বলে জানি সেই নামায?}

৭:১১৭ وَأَوْحَيْنَا إِلَىٰ مُوسَىٰ أَنْ أَلْقِ عَصَاكَ ۖ فَإِذَا هِيَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُونَ
তারপর আমরা মূসাকে ওহী করলাম, এবার নিক্ষেপ কর তোমার লাঠিখানা। অতএব সঙ্গে সঙ্গে তা সে সমুদয়কে গিলতে লাগল, যা তারা বানিয়েছিল যাদু বলে।

 এই আয়াতটির মতোই 26:63, 10:87 এবং 20:77-আয়াতগুলিতেও মূসার কাছে ওহী (অনুপ্রানীত) করা হয় যা সরাসরি আদেশ হিসাবে উচ্চারিত হয়।

৭:১৪৪ قَالَ يَا مُوسَىٰ إِنِّي اصْطَفَيْتُكَ عَلَى النَّاسِ بِرِسَالَاتِي وَبِكَلَامِي فَخُذْ مَا آتَيْتُكَ وَكُن مِّنَ الشَّاكِرِينَ
(পরওয়ারদেগার) বললেন, হে মূসা, আমি তোমাকে আমার বার্তা পাঠানোর এবং আমার বাণীর (কালাম/word) মাধ্যমে লোকদের (নাস) উপর বিশিষ্টতা দান করেছি। সুতরাং যা কিছু আমি তোমাকে দান করলাম, গ্রহণ কর এবং কৃতজ্ঞ থাক।

এই আয়াতে মুসাকে আল্লাহ তাঁর বার্তা এবং বাণী দিয়ে তাকে বেছে নিয়েছেন। কিন্তু মুহাম্মদ সহ অন্যান্য রাসূলদের কাছে পাঠানো আল্লাহর বাণী ও বার্তার সাথে মুসার কাছে পাঠানো বার্তা ও বাণীর কোন পার্থক্য নেই। 
৪১:৪৩ مَّا يُقَالُ لَكَ إِلَّا مَا قَدْ قِيلَ لِلرُّسُلِ مِن قَبْلِكَ ۚ إِنَّ رَبَّكَ لَذُو مَغْفِرَةٍ وَذُو عِقَابٍ أَلِيمٍ
আপনাকে তো তাই বলা হয়, যা বলা হত পূর্ববর্তী রসূলগনকে। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার কাছে রয়েছে ক্ষমা এবং রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
৪২:১৩ شَرَعَ لَكُم مِّنَ الدِّينِ مَا وَصَّىٰ بِهِ نُوحًا وَالَّذِي أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ وَمَا وَصَّيْنَا بِهِ إِبْرَاهِيمَ وَمُوسَىٰ وَعِيسَىٰ ۖ أَنْ أَقِيمُوا الدِّينَ وَلَا تَتَفَرَّقُوا فِيهِ ۚ كَبُرَ عَلَى الْمُشْرِكِينَ مَا تَدْعُوهُمْ إِلَيْهِ ۚ اللَّهُ يَجْتَبِي إِلَيْهِ مَن يَشَاءُ وَيَهْدِي إِلَيْهِ مَن يُنِيبُ
তিনি তোমাদের জন্যে দ্বীনের ক্ষেত্রে সে পথই নিধারিত করেছেন, যার আদেশ দিয়েছিলেন নূহকে, যা আমি প্রত্যাদেশ (ওহী) করেছি আপনার প্রতি এবং যার আদেশ দিয়েছিলাম ইব্রাহীম, মূসা ও ঈসাকে এই মর্মে যে, তোমরা দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত কর এবং তাতে অনৈক্য সৃষ্টি করো না। আপনি মূশরেকদেরকে যে বিষয়ের প্রতি আমন্ত্রণ জানান, তা তাদের কাছে দুঃসাধ্য বলে মনে হয়। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা মনোনীত করেন এবং যে তাঁর অভিমুখী হয়, তাকে পথ প্রদর্শন করেন।

যদি একই বার্তা ও বাণী সকল রাসূলের উপরে ওহী করা হয়ে থাকে , তাহলে প্রশ্ন ওঠে আল্লাহ কার উপর মুসাকে বিশিষ্টতা দান করেছেন? প্রচলিত ধারনা হল অন্যান্য নবী রাসূলের উপরে আল্লাহ মুসাকে বিশিষ্টতা দান করেছেন। এই ধারনা বা প্রচারনা ভুল। সত্য হল সাধারন লোকের (নাস) উপরে মুসাকে বিশিষ্টতা দান করেছেন এবং এটাই পরিস্কারভাবে উপরে দেয়া ৭:১৪৪ আয়াতে বলা আছে। সকল নবী রাসূলই আল্লাহর বার্তা ও বাণীর জন্য সাধারন মানুষ থেকে বিশিষ্ট। ইসলামে আল্লাহর বার্তা ও বানীই গুরুত্বপূর্ন , নবী রাসুল নয়। আল্লাহর বার্তা ও বানীর বাইরে মুহাম্মাদকে বিশ্বাস করা হল এক প্রকার অবিশ্বাস, অর্থাৎ সেই অবিশ্বাসীদের যারা তাঁকে দেবতার আসনে বসিয়েছে।



No comments:

Post a Comment