Tuesday, March 19, 2019

ইসলাম ও শাফায়াত (সুপারিশ) শেষ...


"তারা কি আল্লাহ ব্যতীত সুপারিশকারী গ্রহণ করেছে? বলুন, তাদের কোন এখতিয়ার না থাকলেও এবং তারা না বুঝলেও? বলুন, সমস্ত সুপারিশ আল্লাহরই ক্ষমতাধীন, আসমান যমীনে তাঁরই সাম্রাজ্য। অতঃপর তাঁরই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।" ৩৯:৪৩-৪৪

উপরের এই আয়াত থেকে এটা স্পষ্ট শেষ বিচারের দিনে আল্লাহ ছাড়া কোন সুপারিশকারী নেই| কিন্তু  ৫৩:২৬ আয়াত অনুযায়ী "আকাশে অনেক ফেরেশতা রয়েছে। তাদের কোন সুপারিশ ফলপ্রসূ হয় না যতক্ষণ আল্লাহ যার জন্যে ইচ্ছা যাকে পছন্দ করেন, অনুমতি না দেন"| তাহলে আয়াত দুটি কি পরষ্পর বিরোধী হয়ে গেল না? না| কারন - ফেরেশতারা নিজের ইচ্ছায় কিছু করেন না , তারা আল্লাহর নির্দেশ অনুমতিক্রমেই সব  কিছু করেন| কারনে ফেরেশতাদের কাজ কে আল্লাহর কাজ বলেই ধরা হয়| এটা বুঝতে নিচের আয়াতদুটি দেখুন ...

"আল্লাহ মানুষের প্রাণ হরণ করেন তার মৃত্যুর সময়,"... ৩৯:৪২
"বলুন, তোমাদের প্রাণ হরণের দায়িত্বে নিয়োজিত ফেরেশতা তোমাদের প্রাণ হরণ করবে।"৩২:১১

একই যুক্তিতে বলা যায় আল্লাহ যখন কোন ব্যাক্তিকে করুনা করতে চান , তখন ফেরেশতাদের সুপারিশ করার অনুমতি দেন| প্রথম থেকে শুরু করা যাক , আল্লাহ প্রতিটি মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সর্বক্ষনের  জন্য দুটি ফেরেশতাকে নিয়োজিত করেছেন তার সকল কর্ম নথীভুক্ত করার জন্য|

"আমি মানুষ সৃষ্টি করেছি এবং তার মন নিভৃতে যে কুচিন্তা করে, সে সম্বন্ধেও আমি অবগত আছি। আমি তার গ্রীবাস্থিত ধমনী থেকেও অধিক নিকটবর্তী। যখন দুই ফেরেশতা ডানে বামে বসে তার আমল গ্রহণ করে। সে যে কথাই উচ্চারণ করে, তাই গ্রহণ করার জন্যে তার কাছে সদা প্রস্তুত প্রহরী রয়েছে।" ৫০:১৬-১৮

"অবশ্যই তোমাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত আছে। সম্মানিত আমল লেখকবৃন্দ। তারা জানে যা তোমরা কর। "৮২:১০-১২

শেষ বিচারের দিন সকলেই একাকি উত্থিত হবে ,অর্থাৎ কোন মানব আত্মা তার সঙ্গে থাকবে না| (নবী রসূলরাও মানব আত্মা) শুধু থাকবে দুই ফেরেশতা তাদের সঙ্গে..

"এবং শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে এটা হবে ভয় প্রদর্শনের দিন। প্রত্যেক ব্যক্তি আগমন করবে। তার সাথে থাকবে চালক কর্মের সাক্ষী। তুমি তো এই দিন সম্পর্কে উদাসীন ছিলে। এখন তোমার কাছ থেকে যবনিকা সরিয়ে দিয়েছি। ফলে আজ তোমার দৃষ্টি সুতীক্ষ্ন। তার সঙ্গী ফেরেশতা বলবেঃ আমার কাছে যে, আমলনামা ছিল, তা এই। তোমরা উভয়েই নিক্ষেপ কর জাহান্নামে প্রত্যেক অকৃতজ্ঞ বিরুদ্ধবাদীকে,"৫০:২০-২৪

বিচার শেষ এবং জাহান্নামে নিক্ষেপ করাও সম্পন্ন| এর ভিতরেই যা করার করতে হবে| আল্লাহর অনুমতি সাপেক্ষে নিজের ওকালতি নিজেকেই করতে হবে এবং সাক্ষী হিসাবে সর্বক্ষনের সঙ্গী এই ফেরেশতারারা ছাড়া আর কেউ থাকবে না| সুতরাং সত্যিকারের সুপারিশ তো এই ফেরেশতারাই করবে আল্লাহর অনুমতি সাপেক্ষে| এদের পক্ষেই করা সম্ভব সুপারিশ করা , কারন এরা তার সকল কাজের সাক্ষী| কোন মানুষের পক্ষে সুপারিশকারী হওয়া সম্ভব নয় , কারন  তারা সকল কর্মের সাক্ষী বাস্তবিকভাবে হতে পারে না|

সুতরাং আমরা এই উপসংহারে পৌছাতে পারি যে , আল্লাহ যার উপর করুনা করতে চান তার জন্য ফেরেশতাদের অনুমতি দেবেন তার ভাল কাজের সাক্ষ্য তথা সুপারিশ করতে|




1 comment:

  1. সমকামিতা সম্পর্কে ইসলামকি বলে জানতে চাই।

    ReplyDelete