Koptos – Coptos – Qobt – Qibt – Egypt এই নামেই ৫০০০ বছর ধরে দেশটি পরিচিত।
মিশর/Misr নামে কবে থেকে দেশটি পরিচিতি পেল?
খৃঃপূঃ ৪র্থ শতকে মহাবীর আলেক্জান্ডার সেই সময়কার সর্ববৃহৎ ও শক্তিমান গ্রীকসম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন , যার অধীনে ছিল পশ্চিম ভারত , ইরান , মেসোপটেমিয়া ও ইজিপ্ট। ফলে গ্রীক ভাষা , আজকের ইংরেজি ভাষার মতোই সেই সময়কার পৃথিবীতে সর্বব্যাপী ছিল। সেই সময়ে গ্রীক ম্যান্ডেট নিয়ে ইজিপ্টের শাসনকর্তা ছিলেন টলেমি ফিলোডেলফিস , যিনি টলেমি২ নামেই বিশ্বে বেশি পরিচিত।
Alexander's Empire, during its zenith (4th Centiry B.C)
টলেমি২ কিছু ইহুদী ধর্মজাযককে নিয়োগ করেন বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টকে আরামিক থেকে গ্রীক ভাষায় অনুবাদ করার জন্য। এরাই প্রথম ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সর্ব প্রথম বাইবেলে বর্ণীত মিসরিমের অনুবাদ করেন ইজিপ্ট। সেই থেকেই গ্রীক বাইবেলের কল্যানে সারা পৃথিবীর খৃষ্টান ও ইহুদীরা ইজিপ্টকে মিশর/Misr নামেই চেনে। সাধারনত কোন দেশ বা জায়গার নাম অনুবাদ করার সময় অপরিবর্তিতই থাকে বা উচ্চারনের সুবিধার জন্য সামান্য কিছু পরিবর্তন হয় যার সাথে আদি নামের মিল থাকে। যেমন 'ঢাকা' ইংরেজিতে Decca , কলিকাতা-calcutta। কিন্তু দেখুন মিসরিমের/Misrim সাথে ইজিপ্টের /Egyptus কোনই মিল নেই। সম্পুর্ন ভিন্ন দুটি নাম।
আরামিক বাইবেলের যেখানেই মিসরিম/Misrim লেখা আছে , সেখানেই গ্রীক বাইবেলে অনুবাদ করা হয়েছে ইজিপ্ট /Egyptus । এখন দেখি আরামিক বাইবেল থেকে একটি আয়াত (Genesis 21:21):
וישׁב במדבר פארן ותקח־לו אמו אשׁה מארץ מצרים
আরামিক আরবির মতোই বাম থেকে ডানে লেখা হয়। আন্ডারলাইন করা শেষ শব্দটিই হলো মিসরিম।
প্রথম বর্ণ "מ" 'মেম' উচ্চারিত হয় 'ম'
২য় বর্ণ "צ" 'ত্সেড' উচ্চারিত হয় 'স'
৩য় বর্ণ "ר" 'রেশ' উচ্চারিত হয় 'র'
৪র্থ বর্ণ "י" 'ইয়োড' উচ্চারিত হয় 'ই'
৫ম বর্ "ם" এটাও 'মেম' বা 'ম' (শব্দের শেষে থাকলে এভাবে লেখা হয়)
একসাথে করলে পাই- 'মিসরিম' ( আদি আরবি কোরানে যেমন লেখা ছিল না , তেমনি আরবির মতোই আরামিক ভাষায় জের , জবর , পেশ লেখা হয় না)
এখন দেখুন এর অনুবাদ গ্রীক ভাষায় করা হয়েছে Αἰγύπτου.
প্রথম বর্ণ : "A" “আলফা”, উচ্চারিত হয় “a”.
২য় বর্ণ: "ἰ" “আয়োটা”, উচ্চারিত হয় “i”.
৩য় বর্ণ: "γ" “গামা”, উচ্চারিত হয় “g”.
৪ট্থ বর্ণ: "ύ" “উপসিলন”, উচ্চারিত হয় “i”or “y”
৫ম বর্ণ: "π" “পাই”, উচ্চারিত হয় “p”.
৬ষ্ঠ বর্ণ: "τ” “টাউ”, উচ্চারিত হয় “t”.
৭ম বর্ণ: "ο" “অমিক্রন”, উচ্চারিত হয় “o”.
এখন একসাথে করলে পাই- A-i-g-i(y)-p-t-o (ইজিপ্টো).
ইজিপ্ট যদি মিশর না হবে , তাহলে বাইবেল বা কোরানে যে মিসরিম/مصر এর কথা বলা হয়েছে , সেটা তাহলে কোথায়? এর উত্তর ভবিষ্যতে দেয়ার ইচ্ছা রইল।
মিশর/Misr নামে কবে থেকে দেশটি পরিচিতি পেল?
খৃঃপূঃ ৪র্থ শতকে মহাবীর আলেক্জান্ডার সেই সময়কার সর্ববৃহৎ ও শক্তিমান গ্রীকসম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন , যার অধীনে ছিল পশ্চিম ভারত , ইরান , মেসোপটেমিয়া ও ইজিপ্ট। ফলে গ্রীক ভাষা , আজকের ইংরেজি ভাষার মতোই সেই সময়কার পৃথিবীতে সর্বব্যাপী ছিল। সেই সময়ে গ্রীক ম্যান্ডেট নিয়ে ইজিপ্টের শাসনকর্তা ছিলেন টলেমি ফিলোডেলফিস , যিনি টলেমি২ নামেই বিশ্বে বেশি পরিচিত।
Alexander's Empire, during its zenith (4th Centiry B.C)
টলেমি২ কিছু ইহুদী ধর্মজাযককে নিয়োগ করেন বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টকে আরামিক থেকে গ্রীক ভাষায় অনুবাদ করার জন্য। এরাই প্রথম ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সর্ব প্রথম বাইবেলে বর্ণীত মিসরিমের অনুবাদ করেন ইজিপ্ট। সেই থেকেই গ্রীক বাইবেলের কল্যানে সারা পৃথিবীর খৃষ্টান ও ইহুদীরা ইজিপ্টকে মিশর/Misr নামেই চেনে। সাধারনত কোন দেশ বা জায়গার নাম অনুবাদ করার সময় অপরিবর্তিতই থাকে বা উচ্চারনের সুবিধার জন্য সামান্য কিছু পরিবর্তন হয় যার সাথে আদি নামের মিল থাকে। যেমন 'ঢাকা' ইংরেজিতে Decca , কলিকাতা-calcutta। কিন্তু দেখুন মিসরিমের/Misrim সাথে ইজিপ্টের /Egyptus কোনই মিল নেই। সম্পুর্ন ভিন্ন দুটি নাম।
আরামিক বাইবেলের যেখানেই মিসরিম/Misrim লেখা আছে , সেখানেই গ্রীক বাইবেলে অনুবাদ করা হয়েছে ইজিপ্ট /Egyptus । এখন দেখি আরামিক বাইবেল থেকে একটি আয়াত (Genesis 21:21):
וישׁב במדבר פארן ותקח־לו אמו אשׁה מארץ מצרים
আরামিক আরবির মতোই বাম থেকে ডানে লেখা হয়। আন্ডারলাইন করা শেষ শব্দটিই হলো মিসরিম।
প্রথম বর্ণ "מ" 'মেম' উচ্চারিত হয় 'ম'
২য় বর্ণ "צ" 'ত্সেড' উচ্চারিত হয় 'স'
৩য় বর্ণ "ר" 'রেশ' উচ্চারিত হয় 'র'
৪র্থ বর্ণ "י" 'ইয়োড' উচ্চারিত হয় 'ই'
৫ম বর্ "ם" এটাও 'মেম' বা 'ম' (শব্দের শেষে থাকলে এভাবে লেখা হয়)
একসাথে করলে পাই- 'মিসরিম' ( আদি আরবি কোরানে যেমন লেখা ছিল না , তেমনি আরবির মতোই আরামিক ভাষায় জের , জবর , পেশ লেখা হয় না)
এখন দেখুন এর অনুবাদ গ্রীক ভাষায় করা হয়েছে Αἰγύπτου.
প্রথম বর্ণ : "A" “আলফা”, উচ্চারিত হয় “a”.
২য় বর্ণ: "ἰ" “আয়োটা”, উচ্চারিত হয় “i”.
৩য় বর্ণ: "γ" “গামা”, উচ্চারিত হয় “g”.
৪ট্থ বর্ণ: "ύ" “উপসিলন”, উচ্চারিত হয় “i”or “y”
৫ম বর্ণ: "π" “পাই”, উচ্চারিত হয় “p”.
৬ষ্ঠ বর্ণ: "τ” “টাউ”, উচ্চারিত হয় “t”.
৭ম বর্ণ: "ο" “অমিক্রন”, উচ্চারিত হয় “o”.
এখন একসাথে করলে পাই- A-i-g-i(y)-p-t-o (ইজিপ্টো).
ইজিপ্ট যদি মিশর না হবে , তাহলে বাইবেল বা কোরানে যে মিসরিম/مصر এর কথা বলা হয়েছে , সেটা তাহলে কোথায়? এর উত্তর ভবিষ্যতে দেয়ার ইচ্ছা রইল।
No comments:
Post a Comment