বিগ ব্যাং এর মাধ্যমে শুরু থেকে এই পৃথিবীতে ভাল মন্দ বিভৎস যা কিছু ঘটছে , ঘটেছে ও ঘটবে , তার সবকিছুই আল্লাহ ঘটিয়েছেন , ঘটাচ্ছেন ও ঘটাবেন। আমাদের নিজস্ব কোন ইচ্ছা নেই বা কোন কিছু করার ক্ষমতা নেই। বুদ্ধিমানরা একটু চিন্তা করলেই একথাগুলো যে কত সত্য তা বোধগম্য হওয়ার কথা। আমাদের নিজস্ব কোন ইচ্ছাই নেই। আমরা সকলেই আল্লাহর হাতের পুতুল। সুতরাং নিঃসন্দেহে এই উপসংহারে আসা যায় যে আস্তিক কর্তৃক নাস্তিকের চাপাতির আঘাতে মৃত্যু ও আল্লাহর ইচ্ছায়ই ঘটেছে।
আবার ভেবে বসেন না এগুলো আমার বানানো কথা। নিচের সুস্পষ্ট আয়াতগুলো পড়ুন--
৫৭:২২ পৃথিবীতে এবং ব্যক্তিগতভাবে তোমাদের উপর কোন বিপদ আসে না; কিন্তু তা জগত সৃষ্টির পূর্বেই কিতাবে লিপিবদ্ধ আছে। নিশ্চয় এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ।
৩৭:৯৬ অথচ আল্লাহ তোমাদেরকে এবং তোমরা যা নির্মাণ করছ সবাইকে সৃষ্টি করেছেন।
৭৬:৩০ আল্লাহর অভিপ্রায় ব্যতিরেকে তোমরা অন্য কোন অভিপ্রায় পোষণ করবে না। আল্লাহ সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়।
৮১:২৯ তোমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অভিপ্রায়ের বাইরে অন্য কিছুই ইচ্ছা করতে পার না।
২৮:৬৮ আপনার পালনকর্তা যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবং পছন্দ করেন। তোমাদের কোন ক্ষমতা নেই। আল্লাহ পবিত্র এবং তারা যাকে শরীক করে, তা থেকে উর্ধ্বে।
স্বাধীন ইচ্ছা বলে কিছু নেই। বাহ্যিক দৃষ্টিতে আমাদের মনে হয় , আমরাই বুঝি আমাদের ইচ্ছার মালিক । যা ইচ্ছা তাই করতে পারি। না পারি না। এ সকলি মায়া। ইচ্ছা নির্ভর করে মানুষের জন্ম , বেড়ে ওঠা , শিক্ষা , পারিপার্শিকতা , কি ফলাফল বয়ে আনবে তার বিবেচনা ইত্যাদির উপরে। যার কোনটার উপরেই মানুষের হাত নেই। আমার দাদার সাথে আমার দাদির বিয়ে না হয়ে অন্য কোন মেয়ের বিয়ে হলে আমার জন্মই হোত না। এমনটি আপনি ও এই পৃথিবীর ৭০০ কোটি মানুষের জন্যই প্রযোজ্য। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় দেখা গেছে একি পরিস্থীতিতে মানুষ বারংবার একি স্বীদ্ধান্ত নেবে। উপরে দেয়া ৭৬:৩০ ও ৮১:২৯ আয়াতদুটিতে স্পষ্ট বলা আছে আল্লাহর ইচ্ছার বাইরে আমাদের কোন ইচ্ছাই নেই।
আবার ভেবে বসেন না এগুলো আমার বানানো কথা। নিচের সুস্পষ্ট আয়াতগুলো পড়ুন--
৫৭:২২ পৃথিবীতে এবং ব্যক্তিগতভাবে তোমাদের উপর কোন বিপদ আসে না; কিন্তু তা জগত সৃষ্টির পূর্বেই কিতাবে লিপিবদ্ধ আছে। নিশ্চয় এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ।
৩৭:৯৬ অথচ আল্লাহ তোমাদেরকে এবং তোমরা যা নির্মাণ করছ সবাইকে সৃষ্টি করেছেন।
৭৬:৩০ আল্লাহর অভিপ্রায় ব্যতিরেকে তোমরা অন্য কোন অভিপ্রায় পোষণ করবে না। আল্লাহ সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়।
৮১:২৯ তোমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অভিপ্রায়ের বাইরে অন্য কিছুই ইচ্ছা করতে পার না।
২৮:৬৮ আপনার পালনকর্তা যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবং পছন্দ করেন। তোমাদের কোন ক্ষমতা নেই। আল্লাহ পবিত্র এবং তারা যাকে শরীক করে, তা থেকে উর্ধ্বে।
স্বাধীন ইচ্ছা বলে কিছু নেই। বাহ্যিক দৃষ্টিতে আমাদের মনে হয় , আমরাই বুঝি আমাদের ইচ্ছার মালিক । যা ইচ্ছা তাই করতে পারি। না পারি না। এ সকলি মায়া। ইচ্ছা নির্ভর করে মানুষের জন্ম , বেড়ে ওঠা , শিক্ষা , পারিপার্শিকতা , কি ফলাফল বয়ে আনবে তার বিবেচনা ইত্যাদির উপরে। যার কোনটার উপরেই মানুষের হাত নেই। আমার দাদার সাথে আমার দাদির বিয়ে না হয়ে অন্য কোন মেয়ের বিয়ে হলে আমার জন্মই হোত না। এমনটি আপনি ও এই পৃথিবীর ৭০০ কোটি মানুষের জন্যই প্রযোজ্য। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় দেখা গেছে একি পরিস্থীতিতে মানুষ বারংবার একি স্বীদ্ধান্ত নেবে। উপরে দেয়া ৭৬:৩০ ও ৮১:২৯ আয়াতদুটিতে স্পষ্ট বলা আছে আল্লাহর ইচ্ছার বাইরে আমাদের কোন ইচ্ছাই নেই।
মুহাম্মাদ সাদাত
"যার ইচ্ছা, বিশ্বাস স্থাপন করুক এবং যার ইচ্ছা অমান্য করুক।"
"যে ইচ্ছা করে, সে তার পালনকর্তার পথ অবলম্বন করুক।"
"প্রত্যেক ব্যক্তি তার কৃতকর্মের জন্য দায়ী।" [যথাক্রমে ১৮:২৯, ২৫:৫৭, ৭৪:৩৮ আয়াতের প্রাসঙ্গিক অংশ]
ইচ্ছা করলেই যদি সৎপথে আসা যেত বা কাফের হওয়া যেত , তাহলে ইচ্ছা করে দেখুনতো কাফের হতে পারেন কিনা? আর যাদের অন্তর আল্লাহ সীল করে দিয়েছেন তারা কিভাবে বিশ্বাস স্থাপন করবে? এমনটি হলে ফুলবানু ও আকাশ মালিক অনেক আগেই মুমিন হয়ে যেত!! আল্লাহ চেয়েছেন বলেই আপনি বিশ্বাস স্থাপন করেছেন। আল্লাহ চেয়েছেন বলেই ফুলবানু ও আকাশ মালিক আল্লাহর বিরোধিতা করে চলেছে। এ থেকে এদের বা কারোরই মুক্তি নেই।
এ পৃথিবির প্রতিটি ঘটনার স্রষ্টা আল্লাহ। মানুষের জন্ম , মৃত্যু ও মৃত্যুর স্থান ও নির্দিষ্ট করা আছে। একারনে আপনার দাদার সাথে আপনার দাদিরই বিয়ে হতে হবে অন্য কারো হলে হবে না। আপনার বাবার সাথে আপনার মারই বিয়ে হতে হবে। নইলে আপনার জন্মই হোত না। আপনার বদলে বা আমার বদলে অন্য কেউ এখন এই পৃথিবীতে বিচরন করত।
গত বছর গাড়িতে আগুনে বোমায় পুড়ে যে লোকগুলো ও শিশুগুলি মারা গিয়েছিল , তাদের ঐ গাড়িতেই ঐ সময়েই চড়তে হবে। অন্য গাড়িতে বা অন্য সময়ে নয়। যে বোমা মেরেছিল , তার অন্য কোন ইচ্ছাই হবে না। তাকে ঐ সময়েই বোমা মারতে হবে , অন্য কোন কাজ বা নিজের বৌর সাথে একদন্ড বেশি খোশ গল্প করে দেরি করার অবকাশ নেই।
৮:১৭ সুতরাং তোমরা তাদেরকে হত্যা করনি, বরং আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন। আর তুমি মাটির মুষ্ঠি নিক্ষেপ করনি, যখন তা নিক্ষেপ করেছিলে, বরং তা নিক্ষেপ করেছিলেন আল্লাহ স্বয়ং যেন ঈমানদারদের প্রতি এহসান করতে পারেন যথার্থভাবে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ শ্রবণকারী; পরিজ্ঞাত।
No comments:
Post a Comment