Tuesday, October 30, 2012

আমার নামাজ

(প্রথমেই আমি সকলকে সতর্ক করে দিতে চাই যে , নামাজ সম্পর্কে আমার এই বক্তব্য, সম্পুর্নরুপে আমার নিজস্ব।)

আমি এমন কোন গুরুত্বপূর্ন ব্যাক্তি নই যে আমি কিভাবে নামাজ পড়ি সেটা অন্যদের জানা আবশ্যক বা অন্যদের জন্য অনুকরনীয়। আমি মনে করি কে কিভাবে নামাজ পড়বে এবং নামাজের মাধ্যমে আল্লাহকে স্মরন করবে ও আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবে , সেটা যার যার নিজস্ব বিষয়।

আমি প্রচলিত নিয়মেই কোরানের আলোকে কিছু সংশোধনীসহ দৈনিক ৫ বার ফরজ নামাজ পড়ি। কোন সুন্নত নামাজ পড়ি না। ফরজ নামাজের প্রচলিত নিয়ম বা রাকাত সংখ্যা তো কোরানে নেই। তাহলে কোরান বহির্ভূত পদ্ধতিতে নামাজ পড়ে আমি দ্বিচারিতা বা ভন্ডামি করছি কিনা? না , করছি না। কারন-

১) কোরানে যেহেতু নামাজ পড়ার সুনির্দিষ্ট নিয়ম বা রাকাত সংখ্যার উল্লেখ নেই , সেহেতু আমি মনে করি আল্লাহ আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন যার যেমন ইচ্ছা তেমন ভাবে নামাজ পড়ার। নামাজের মধ্যে শিস না দিলে ও তালি না বাজালেই হলো (৮:৩৫)।

২) কোরান অনুযায়ী নামাজের যে ৩ অঙ্গভঙ্গির কথা বলা হয়েছে – দাড়ানো , রূকু ও সিজদা , এর সবগুলোই আমরা প্রচলিত নামাজের সময় করে থাকি। সুতরাং প্রচলিত নিয়মে নামাজ পড়ে আমি কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক কিছু করছি না।

৩) আমি নামাজ শিখেছি বাপ মার নামাজ পড়া দেখে ও নামাজের খুটি নাটি জেনেছি সম্ভবত আমাদের বাড়িতে যে মৌলভি সাহেব লজিং থাকতেন , তার কাছে। আমাদের দেশে অধিকাংশ লোক এভাবেই নামাজ পড়া শেখে। এটাকেই বলে ‘বিল মারুফ’ বা সমাজে প্রচলিত , অনুমোদিত ও গৃহীত কোন নিয়ম। ভিন্ন ভিন্ন সমাজের জন্য ‘বিল মারুফ’ সাধারনত ভিন্ন হয়ে থাকে। কোরানে বহু বার বিল মারুফ অনুযায়ী বিচার করতে বা মেনে চলতে বলা হয়েছে।

৪) একটা বিষয় লক্ষনীয় , কোরানে না থাকলেও সমগ্র বিশ্বে বর্তমানে মুসলমানদের মধ্যে ফরজ নামাজের রাকাতের সংখ্যা নিয়ে কোন দ্বিমত নেই , আর নামাজ পড়ার ধরনের মধ্যেও যে পার্থক্য , তা খুবই সামান্য। এর থেকে কি এটাই প্রতীয়মান হয়না যে , আল্লাহ নামাজকে মানুষের পালনের মাধ্যমে সংরক্ষন করছেন বা সংরক্ষন করবেন কেয়ামত পর্যন্ত। যে কারনে কোরানে নামাজ কত রাকাত , বা সঠিক ভাবে নামাজ কি ভাবে পড়তে হবে , তা লেখেন নি। খেয়াল করুন ফরজ নামাজে কোন বিভক্তি নেই। ইচ্ছা করলেই কেউ ফরজ নামাজের সংখ্যা বা রাকাত সংখ্যা পরিবর্তন করতে পারেনা বা যদি করেও কেউ মানবে না। ৪:১০২ আয়াত থেকে এটা প্রতীয়মান হয় যে , নামাজে রাকাতের সংখ্যা দুই বা ততোধিক। একারনে ফরজ নামাজে প্রচলিত রাকাত সংখ্যা কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক নয় বিধায় আমি প্রচলিত রাকাত সংখ্যা অনুযায়ী নামাজ পড়ে থাকি।

সংশোধনিসমূহ-

১) আমি নামাজের শুরুতে কোন নিয়ত করি না। আল্লাহ প্রতিটি বান্দার মনের খবর জানেন। একারনে ঘটা করে নিয়ত করাকে আমার কাছে বাহুল্য মনে হয়।

২) আমি সাধারনত বাড়িতে একাকি নামাজ পড়ি। ১০৭ সূরাতে লোক দেখানো নামাজ পড়তে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। শুধু জুম্মার নামাজ মসজিদে পড়ি এবং কখনো কার্যোপলক্ষে বাড়ির বাইরে থাকলে মসজিদে ওয়াক্তের নামাজ জামাতের সাথে পড়ি।

৩) বাড়িতে পুরো নামাজই ২ , ৩ বা ৪ রাকাত যখন যেটা প্রযোজ্য , মধ্যম স্বরে পড়ি। এমনকি রুকু ও সিজদার সময় তাসবীহ এবং বৈঠকের সময় শাহাদা ও কোরান থেকে দোয়া মধ্যম স্বরে পড়ি।

৪) ১ম ২ রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ‘قُلْ ‘ শব্দটি বাদ দিয়ে সূরা ফালাক্ক ও সূরা নাস পড়ি।

৫) বৈঠকে আত্তাহিয়াতু ও দরূদ পড়ি না। বদলে ৩:১৮ আয়াত শাহাদা হিসাবে এবং কোরান থেকে বিভিন্ন দোয়া পড়ি।

পরিশেষে এটাই বলব , আমার নামাজ সময়ের সাথে আমার জ্ঞানার্জনের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে ও পরিবর্তনের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না।

কোরান থেকে নামাজ

৬:১১৪-১১৫. তবে কি আমি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন বিচারক অনুসন্ধান করব, অথচ তিনিই তোমাদের প্রতি বিস্তারিত গ্রন্থ অবতীর্ন করেছেন? আমি যাদেরকে গ্রন্থ প্রদান করেছি, তারা নিশ্চিত জানে যে, এটি আপনার প্রতি পালকের পক্ষ থেকে সত্যসহ অবর্তীর্ন হয়েছে। অতএব, আপনি সংশয়কারীদের অন্তর্ভুক্ত হবেন না।
 
আপনার প্রতিপালকের বাক্য পূর্ণ সত্য ও সুষম। তাঁর বাক্যের কোন পরিবর্তনকারী নেই। তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী।

নামাজ ফারসি শব্দ। কোরানে বর্ণীত আকিমুস সালাতের অর্থ ব্যাপক হলেও আমরা সাধারনত সালাত বলতে নামাজ পড়াকেই বুঝে থাকি।কোরানে ৬৭ বার সালাতের উল্লেখ করা হয়েছে। এর পরে ও সালাতের খুটিনাটির খোঁজে যারা কোরান ছাড়া অন্য গ্রন্থের স্মরনাপন্ন হয় , তারা কোরানে বর্নীত সেই ইহুদিদের কথাই মনে করিয়ে দেয় , যাদেরকে গরু জবাই করতে বলা হয়েছিল। যে কোন একটি গরু জবাই দিলেই যখন সহজে কাজ সমাধা হয়ে যেত , সেখানে খুটিনাটি জানতে চেয়ে তারা গরু খোঁজার কাজটি কঠিন করে তুলেছিল।
২:৬৭-৭০ যখন মূসা (আঃ) স্বীয় সম্প্রদায়কে বললেনঃ আল্লাহ তোমাদের একটি গরু জবাই করতে বলেছেন। তারা বলল, তুমি কি আমাদের সাথে উপহাস করছ? মূসা (আঃ) বললেন, মূর্খদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে আমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

তারা বলল, তুমি তোমার পালনকর্তার কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা কর, যেন সেটির রূপ বিশ্লেষণ করা হয়। মূসা (আঃ) বললেন, তিনি বলছেন, সেটা হবে একটা গাভী, যা বৃদ্ধ নয় এবং কুমারীও নয়-বার্ধক্য ও যৌবনের মাঝামাঝি বয়সের। এখন আদিষ্ট কাজ করে ফেল।

তারা বলল, তোমার পালনকর্তার কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা কর যে, তার রঙ কিরূপ হবে? মূসা (আঃ) বললেন, তিনি বলেছেন যে, গাঢ় পীতবর্ণের গাভী-যা দর্শকদের চমৎকৃত করবে।

তারা বলল, আপনি প্রভুর কাছে প্রার্থনা করুন-তিনি বলে দিন যে, সেটা কিরূপ? কেননা, গরু আমাদের কাছে সাদৃশ্যশীল মনে হয়। ইনশাআল্লাহ এবার আমরা অবশ্যই পথপ্রাপ্ত হব। মূসা (আঃ) বললেন, তিনি বলেন যে, এ গাভী ভূকর্ষণ ও জল সেচনের শ্রমে অভ্যস্ত নয়-হবে নিষ্কলঙ্ক, নিখুঁত।

একে একে কোরান থেকে নিম্ন লিখিত বিষয় নিয়ে লিখব -
১) সালাতের প্রয়োজনীয়তা ও উদ্দেশ্য
২) সালাতের ইতিহাস
৩) সালাত পূর্ব করনীয়
৪) সালাতে অঙ্গবিন্যাস
৫) সালাতে কি বলতে হবে?
৬) দৈনিক সালাতের সংখ্যা
৭) কয় রাকাত?
৮) জুমা বারের সালাত
৯) আমার সালাত

১) সালাতের প্রয়োজনীয়তা ও উদ্দেশ্য
আল্লাহকে স্মরন করার জন্যই সালাত।
২০:১৪ আমিই আল্লাহ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে সালাত কায়েম কর।
সালাত অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে।
২৯:৪৫ আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং সালাত কায়েম করুন। নিশ্চয় সালাত অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর।
এই আয়াত থেকে আমরা আরো জানতে পারি – আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। সালাত আল্লাহকে স্মরন করার একটা উপায় মাত্র। সালাত ছাড়াও আল্লাহকে স্মরন করা যায় এবং সকলসময় সেটাই করতে বলা হয়েছে কোরানে।
৪:১০৩ অতঃপর যখন তোমরা সালাত সম্পন্ন কর, তখন দন্ডায়মান, উপবিষ্ট ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর। অতঃপর যখন বিপদমুক্ত হয়ে যাও, তখন সালাত ঠিক করে পড়। নিশ্চয় সালাত মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।
সালাত পরকালের জন্য সর্বোত্তম বিনিয়োগ
৩৫:২৯ যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, সালাত কায়েম করে, এবং আমি যা দিয়েছি, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসা আশা কর, যাতে কখনও লোকসান হবে না।
সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাইতে বলা হয়েছে।
২:৪৫ ধৈর্য্যর সাথে সাহায্য প্রার্থনা কর সালাতের মাধ্যমে। অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব।
২:১৫৩ হে মুমিন গন! তোমরা ধৈর্য্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিতই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছেন।

২) সালাতের ইতিহাস

সালাতের ইতিহাস অনেক পুরনো। কোরান থেকে যেটা জানা যায় ইব্রাহিম নবীর সময় থেকে শুরু করে পরবর্তি সকল নবী রসূলের আমলে সালাত প্রচলিত ছিল। সময়ের সাথে সাথে মানুষ সঠিক সালাত ভুলে গিয়েছিল বা বিকৃত করে ফেলেছিল।
সালাত ১৪০০ বছর আগের নুতন কোন আবিস্কার নয়। কোরান থেকেই জানতে পারি , রসূল মুহাম্মদের সমসাময়িক কাফের মুশরিকরা ও সালাত পালন করত। তবে তাদের প্রধান উপাস্য আল্লাহর সাথে সাথে অন্যান্য শরীক আলাত , মানাত ও উজ্জার উপাসনা ও করত। তাদের বিশ্বাস ছিল এই শরীকরা তাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তি করবে , তাদের জন্য সুপারিশ করবে। রসূলকে দিয়ে আল্লাহ সালাতকে শরীকমুক্ত করে শুধুমাত্র আল্লাহ বন্দনা ও আল্লাহর স্মরনে সঠিক সালাত পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।

শয়তান তো আর হাত গুটিয়ে বসে নেই। তাই তো দেখতে পাই আজকের মুসলমানেরা সালাতে আল্লাহর সাথে সাথে অন্যান্য শরিকদের স্মরন করে , তাদের জন্য প্রার্থনা করে। না করলে নাকি সালাতই হবে না। এদের বিশ্বাস এই শরীকরা তাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তি করবে , আল্লাহর কাছে তাদের জন্য সুপারিশ করবে। শরীকদের গ্রন্থ বাদ দিয়ে শুধুমাত্র আল্লাহর কিতাব অনুসরনের কথা বল্লে , গালাগালির নহর বয়ে যায় , শারীরিক নিগ্রহের ধামকি দেয় , কন্ঠরোধের হুমকিই শুধু দেয় না বাস্তবেই কন্ঠরোধ করে।

ইব্রাহিমের সালাত।
২:১২৫ যখন আমি কা’বা গৃহকে মানুষের জন্যে সম্মিলন স্থল ও শান্তির আলয় করলাম, আর তোমরা ইব্রাহীমের দাঁড়ানোর জায়গাকে সালাতের ( مُصَلًّى) জায়গা বানাও এবং আমি ইব্রাহীম ও ইসমাঈলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তওয়াফকারী, অবস্থানকারী ও রুকু-সেজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখ।
মূসা ও হারুনের সালাত
১০:৮৭ আর আমি নির্দেশ পাঠালাম মূসা এবং তার ভাইয়ের প্রতি যে, তোমরা তোমাদের জাতির জন্য মিসরের মাটিতে বাস স্থান নির্ধারণ কর। আর তোমাদের ঘরগুলো বানাবে কেবলামুখী করে এবং সালাত কায়েম কর আর যারা ঈমানদার তাদেরকে সুসংবাদ দান কর।
ঈসার সালাত
১৯:৩১ আমি যেখানেই থাকি, তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন। তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, যতদিন জীবিত থাকি, ততদিন নামায ও যাকাত আদায় করতে।
শুয়েবের সালাত।
১১:৮৭ তারা বলল-হে শোয়ায়েব (আঃ) আপনার সালাত কি আপনাকে ইহাই শিক্ষা দেয় যে, আমরা ঐসব উপাস্যদেরকে পরিত্যাগ করব আমাদের বাপ-দাদারা যাদের উপাসনা করত? অথবা আমাদের ধন-সম্পদে ইচ্ছামত যা কিছু করে থাকি, তা ছেড়ে দেব? আপনি তো একজন খাস মহৎ ব্যক্তি ও সৎপথের পথিক।
জাকারিয়ার সালাত।
৩:৩৯ যখন তিনি কামরার ভেতরে সালাতে দাঁড়িয়েছিলেন, তখন ফেরেশতারা তাঁকে ডেকে বললেন যে, আল্লাহ তোমাকে সুসংবাদ দিচ্ছেন ইয়াহইয়া সম্পর্কে, যিনি সাক্ষ্য দেবেন আল্লাহর নির্দেশের সত্যতা সম্পর্কে, যিনি নেতা হবেন এবং নারীদের সংস্পর্শে যাবেন না, তিনি অত্যন্ত সৎকর্মশীল নবী হবেন।
বণী ইস্রাইলের সালাত।
২:৪৩ আর সালাত কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং সালাতে অবনত হও তাদের সাথে, যারা অবনত হয়।

লুকমানের সালাত।
৩১:১৭ হে বৎস, সালাত কায়েম কর, সৎকাজে আদেশ দাও, মন্দকাজে নিষেধ কর এবং বিপদাপদে সবর কর। নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ।
রসূলের সমসাময়িক কাফেরদের সালাত।
৮:৩৫ আর কা’বার নিকট তাদের সালাত শিস দেয়া আর তালি বাজানো ছাড়া অন্য কোন কিছুই ছিল না। অতএব, এবার নিজেদের কৃত কুফরীর আযাবের স্বাদ গ্রহণ কর।
আল্লাহর নিকটবর্তি হওয়ার আশায় শরীকদের জন্য উপাসনা।
৩৯:৩ জেনে রাখুন, নিষ্ঠাপূর্ণ এবাদত আল্লাহরই নিমিত্ত। যারা আল্লাহ ব্যতীত অপরকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করে রেখেছে এবং বলে যে, আমরা তাদের এবাদত এ জন্যেই করি, যেন তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেয়। নিশ্চয় আল্লাহ তাদের মধ্যে তাদের পারস্পরিক বিরোধপূর্ণ বিষয়ের ফয়সালা করে দেবেন। আল্লাহ মিথ্যাবাদী কাফেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।
৩) সালাত পূর্ব করনীয়
৪:১০৩ …….. নিশ্চয় সালাত বিশ্বাসীদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।
আল্লাহর স্মরন সর্বশ্রেষ্ঠ। বাস্তবে আমরা জীবণ ও জীবিকার অন্বেষনে এমনই ব্যাস্ত হয়ে পড়ি যে আল্লাহকে সকল সময় স্মরন করার কথা ভুলেই যাই। সকল কাজ কাম বাদ দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সালাত ফরজ হওয়ায় আল্লাহকে স্মরনের কাজটি বিশ্বাসীদের জন্য সহজ হয়ে গিয়েছে।
সালাত একটি আনুষ্ঠানিক ধর্মীয় আচার। সালাতের পূর্বে ও সালাত চলাকালিন কিছু শর্ত পালন আবশ্যকীয়। এই শর্ত মানসিক ও শারিরীক উভয় প্রকারের।
সচেতন মন
যেহেতু বিশ্বাসীরা সালাতের মাধ্যমে আল্লাহকে আল্লাহকে স্মরন করে ও আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করে , সে কারনে সালাতে কি বলছে সেটা বোঝা আবশ্যকীয় করা হয়েছে। একারনে আমরা দেখতে পাই নেশাগ্রস্থ অবস্থায় সালাতের নিকটবর্তি হতে নিষেধ করা হয়েছে।
৪:৪৩ হে ঈমাণদারগণ! তোমরা যখন নেশাগ্রস্ত থাক, তখন নামাযের ধারে-কাছেও যেওনা, যতক্ষণ না বুঝতে সক্ষম হও যা কিছু তোমরা বলছ, ………
বিনয়ী বিনীত
২৩:১-২ মুমিনগণ সফলকাম হয়ে গেছে, যারা নিজেদের সালাতে বিনয়-নম্র।
লোক দেখানো সালাত
১০৭:৪-৬ অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর, যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর (না বুঝে পড়ে); যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে।
পরিধেয় বস্ত্র
৭:৩১ হে বনী-আদম! তোমরা প্রত্যেক সালাতের সময় সাজসজ্জা পরিধান করে নাও,………
জুতা
২০:১২ আমিই তোমার পালনকর্তা, অতএব তুমি জুতা খুলে ফেল, তুমি পবিত্র উপত্যকা তুয়ায় রয়েছ।
ওজু – গোসল – তায়াম্মুম
৫:৬ হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত কর এবং পদযুগল গিটসহ। যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে সারা দেহ পবিত্র করে নাও এবং যদি তোমরা রুগ্ন হও, অথবা প্রবাসে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রসাব-পায়খানা সেরে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর, অতঃপর পানি না পাও, তবে তোমরা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-অর্থাৎ, স্বীয় মুখ-মন্ডল ও হস্তদ্বয় মাটি দ্বারা মুছে ফেল। আল্লাহ তোমাদেরকে অসুবিধায় ফেলতে চান না; কিন্তু তোমাদেরকে পবিত্র রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি স্বীয় নেয়ামত পূর্ণ করতে চান-যাতে তোমরা কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ কর।
৪:৪৩ হে ঈমাণদারগণ! তোমরা যখন নেশাগ্রস্ত থাক, তখন নামাযের ধারে-কাছেও যেওনা, যতক্ষণ না বুঝতে সক্ষম হও যা কিছু তোমরা বলছ, আর (নামাযের কাছে যেও না) ফরয গোসলের আবস্থায়ও যতক্ষণ না গোসল করে নাও। কিন্তু মুসাফির অবস্থার কথা স্বতন্ত্র আর যদি তোমরা অসুস্থ হয়ে থাক কিংবা সফরে থাক অথবা তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি প্রস্রাব-পায়খানা থেকে এসে থাকে কিংবা নারী গমন করে থাকে, কিন্তু পরে যদি পানিপ্রাপ্তি সম্ভব না হয়, তবে পাক-পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-তাতে মুখমন্ডল ও হাতকে ঘষে নাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল।
কিবলা
২:১৪২ এখন নির্বোধেরা বলবে, কিসে মুসলমানদের ফিরিয়ে দিল তাদের ঐ কেবলা থেকে, যার উপর তারা ছিল? আপনি বলুনঃ পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা সরল পথে চালান।
২:১৪৪ নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব যাকে আপনি পছন্দ করেন। এখন আপনি মসজিদুল-হারামের দিকে মুখ করুন এবং তোমরা যেখানেই থাক, সেদিকে মুখ কর। যারা আহলে-কিতাব, তারা অবশ্যই জানে যে, এটাই ঠিক পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আল্লাহ বেখবর নন, সে সমস্ত কর্ম সম্পর্কে যা তারা করে।
২:১৭৭ সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার।
সালাতে অঙ্গবিন্যাস
কোরানে সালাত ব্যাপক অর্থে ব্যাবহৃত হলেও এই পোস্টে শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক সালাত যেটাকে আমরা নামাজ বলে জানি , সেটার ভিতরেই সীমাবদ্ধ থাকব।

আনুষ্ঠানিক সালাতের উদাহরন আমরা দেখতে পাই ৪:১০২ আয়াতে। কোরানের আয়াতগুলো থেকে আমরা সালাতে ৩ টি পজিশান বা শারীরিক অবস্থানের কথা জানতে পারি। দাড়ানো , রুকু ও সেজদা।
৪:১০২ নং আয়াত থেকে এটা পরিস্কার , সালাত শুরু হবে দাড়ানোর মাধ্যমে এবং শেষ হবে সেজদার মধ্য দিয়ে।

দাড়ানো
২:২৩৮ সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত
আদবের সাথে দাঁড়াও।

রুকু
২:৪৩ আর নামায কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং সালাতে অবনত হও তাদের সাথে, যারা অবনত হয়। ( যেটাকে আমরা রুকু বলে জানি وَارْكَعُواْ مَعَ الرَّاكِعِينَ)
৯:১১২ তারা তওবাকারী, এবাদতকারী, শোকরগোযার, (দুনিয়ার সাথে) সম্পর্কচ্ছেদকারী, রুকু ও সিজদা আদায়কারী, সৎকাজের আদেশ দানকারী ও মন্দ কাজ থেকে নিবৃতকারী এবং আল্লাহর দেওয়া সীমাসমূহের হেফাযতকারী। বস্তুতঃ সুসংবাদ দাও ঈমানদারদেরকে।

সেজদা
৪:১০২ যখন আপনি তাদের মধ্যে থাকেন, অতঃপর নামাযে দাঁড়ান, তখন যেন একদল দাঁড়ায় আপনার সাথে এবং তারা যেন স্বীয় অস্ত্র সাথে নেয়। অতঃপর যখন তারা সেজদা সম্পন্ন করে, তখন আপনার কাছ থেকে যেন সরে যায় এবং অন্য দল যেন আসে, যারা নামায পড়েনি। অতঃপর তারা যেন আপনার সাথে নামায পড়ে এবং আত্মরক্ষার হাতিয়ার সাথে নেয়। কাফেররা চায় যে, তোমরা কোন রূপে অসতর্ক থাক, যাতে তারা একযোগে তোমাদেরকে আক্রমণ করে বসে। যদি বৃষ্টির কারণে তোমাদের কষ্ট হয় অথবা তোমরা অসুস্থ হও তবে স্বীয় অস্ত্র পরিত্যাগ করায় তোমাদের কোন গোনাহ নেই এবং সাথে নিয়ে নাও তোমাদের আত্নরক্ষার অস্ত্র। নিশ্চয় আল্লাহ কাফেরদের জন্যে অপমানকর শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন।

সালাতে কি বলতে হবে?

সালাতে আমরা যেটাই বলিনা কেন , সেটা বুঝে বলতে হবে এবং মধ্যম স্বরে বলতে হবে। মনে মনে ও না বা চেচিয়ে পাড়া মাথায় করাও না। এটাই কোরানিক নির্দেশ। ১৭:১১০ আয়াত যেহেতু সালাত সংক্রান্ত , সেহেতু ১৭:১১১ আয়াতেও সালাতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেই ধরে নেয়া যেতে পারে। সালাতের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর স্মরন করি , তার সাহায্য প্রার্থনা করি , তার প্রশংসা করি সর্বপরি তার উপাসনা করি। সুরা ফাতেহার ৭ টি আয়াতের মাধ্যমে এগুলোর সবি করা সম্ভব। ধারনা করা হয় ১৫:৮৭ আয়াতে সুরা ফাতেহার কথাই বলা হয়েছে (আল্লাহই ভাল জানেন)। আল্লাহ কোরানে তার পবিত্রতা ঘোষনা করতে বলছেন , যেটা আমরা করে থাকি রুকু ও সেজদাতে।

সালাতে মধ্যম স্বর

১৭:১১০ বলুনঃ আল্লাহ বলে আহবান কর কিংবা রহমান বলে, যে নামেই আহবান কর না কেন, সব সুন্দর নাম তাঁরই। আপনি নিজের নামায আদায়কালে স্বর উচ্চগ্রাসে নিয়ে গিয়ে পড়বেন না এবং নিঃশব্দেও পড়বেন না। এতদুভয়ের মধ্যমপন্থা অবলম্বন করুন।

তাকবীর (আল্লাহু আকবর) বা আল্লাহর মহত্ব বর্ণনা করা

১৭:১১১ বলুনঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি না কোন সন্তান রাখেন, না তাঁর সার্বভৌমত্বে কোন শরীক আছে এবং যিনি দুর্দশাগ্রস্ত হন না, যে কারণে তাঁর কোন সাহয্যকারীর প্রয়োজন হতে পারে। সুতরাং আপনি স-সম্ভ্রমে তাঁর মাহাত্ন (وَكَبِّرْهُ تَكْبِيرًا) বর্ণনা করতে থাকুন।

কোরান থেকে পাঠ করা

২৯:৪৫ আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামায কায়েম করুন।

সূরা ফাতেহা
১৫:৮৭আমি আপনাকে সাতটি বার বার পঠিতব্য আয়াত এবং মহান কোরআন দিয়েছি।

রুকু ও সেজদাতে তাসবীহ

৫৬:৭৪
فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ
অতএব, আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামে পবিত্রতা ঘোষণা করুন।
৮৭:১
سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى
আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামের পবিত্রতা বর্ণনা করুন
৫০:৪০ রাত্রির কিছু অংশে তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করুন এবং নামাযের পশ্চাতেও (السُّجُودِ)।

শাহাদা

৩:১৮ আল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, তাঁকে ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। ফেরেশতাগণ এবং ন্যায়নিষ্ঠ জ্ঞানীগণও সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
 
দৈনিক সালাতের সংখ্যা
 
কোরানে পরিস্কারভাবে বলা নেই , দৈনিক কয়বার সালাতের জন্য দাড়ানো লাগবে। কেন কোরানে দৈনিক সালাতের সংখ্যার পরিস্কার উল্লেখ নেই , তার গূঢ় কারন আল্লাহই ভাল জানেন। যেহেতু কোরানে দৈনিক সালাতের সংখ্যার পরিস্কার উল্লেখ নেই , সেহেতু ধরে নেয়া যায় দৈনিক সালাতের সংখ্যা নির্ধারনের ভার আল্লাহ মুত্তাকিনদের বুঝের উপরেই ছেড়ে দিয়েছেন।
একারনে আমরা দেখতে পাই , কেউ বলছেন কোরানে দৈনিক ৫ বার , কেউ বা দৈনিক ৩ বার , আবার কেউ বা দৈনিক ২ বার সালাতের কথা বলা হয়েছে বলে দাবি করছেন।
যারা দৈনিক ২বার সালাতের কথা বলেন তাদের যুক্তি হলো , কোরানে ২ টি সালাতের নাম খুজে পাওয়া যায় – ‘সালাতুল ফজর’ এবং ‘সালাতুল ঈশা’। যোহর , আছর ও মাগরিব নামে কোন সালাতের কথা কোরানে বলা নেই।
যারা দৈনিক ৩/৫ বার সালাতের কথা বলেন তাদের যুক্তি হলো , কোরানে ২:২৩৮
حَافِظُواْ عَلَى الصَّلَوَاتِ ‘সালাওয়াত’ সংরক্ষনের কথা বলা হয়েছে। ‘সালাওয়াত’ সালাতের বহুবচন অর্থাৎ তিন বা ততোধিক সালাত। এর সপক্ষে এরা আরো একটি সালাতের কথা বলেন , যার নাম ‘সালাতুল উস্তা’। ‘সালাতুল উস্তা’ অর্থ কেউ করেছেন মধ্যবর্তী সালাত , আর দৈনিক ২বার সালাতের সমর্থকরা করেছেন উত্তম সালাত , যেটা ফজর বা ঈশাকেই নির্দেশ করে।
দৈনিক ২বার সালাত
24:58 হে মুমিনগণ! তোমাদের দাসদাসীরা এবং তোমাদের মধ্যে যারা প্রাপ্ত বয়স্ক হয়নি তারা যেন তিন সময়ে তোমাদের কাছে অনুমতি গ্রহণ করে, ফজরের নামাযের পূর্বে, দুপুরে যখন তোমরা বস্ত্র খুলে রাখ এবং এশার নামাযের পর। এই তিন সময় তোমাদের দেহ খোলার সময়। এ সময়ের পর তোমাদের ও তাদের জন্যে কোন দোষ নেই। তোমাদের একে অপরের কাছে তো যাতায়াত করতেই হয়, এমনি ভাবে আল্লাহ তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ বিবৃত করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
11:114 আর দিনের দুই প্রান্তেই নামায ঠিক রাখবে, এবং রাতের প্রান্তভাগে পূর্ণ কাজ অবশ্যই পাপ দূর করে দেয়, যারা স্মরণ রাখে তাদের জন্য এটি এক মহা স্মারক।
দৈনিক ৩ বার সালাত
2:238 সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও।
দৈনিক ৫ বার সালাত
17:78 সূর্য ঢলে পড়ার সময় থেকে রাত্রির অন্ধকার পর্যন্ত নামায কায়েম করুন এবং ফজরের কোরআন পাঠও। নিশ্চয় ফজরের কোরআন পাঠ মুখোমুখি হয়।
(1) The Dawn Prayer (Fajr in Arabic) given in 11:114, 24:58
(2) The Noon Prayer (Zuher in Arabic) , given in 17:78
(3) The Afternoon Prayer (Asr in Arabic), given in 2:238
(4) The sunset Prayer (Maghrib in Arabic), given in 11:114
(5) The Night Prayer (Isha in Arabic), given in 24:58
কয় রাকাত?
কোরানে রাকাতের কথা বলা নেই। তবে যদি আমরা ৪:১০২ নং আয়াতটি নিয়ে চিন্তা করি , তাহলে সালাতে ২ টি রাকাত আছে বলেই প্রতীয়মান হয়।
৪:১০২ যখন আপনি তাদের মধ্যে থাকেন, অতঃপর নামাযে দাঁড়ান, তখন যেন একদল দাঁড়ায় আপনার সাথে এবং তারা যেন স্বীয় অস্ত্র সাথে নেয়। অতঃপর যখন তারা সেজদা সম্পন্ন করে, তখন আপনার কাছ থেকে যেন সরে যায় এবং অন্য দল যেন আসে, যারা নামায পড়েনি। অতঃপর তারা যেন আপনার সাথে নামায পড়ে এবং আত্মরক্ষার হাতিয়ার সাথে নেয়।