আল্লাহর কিতাব কোরান মানব ইতিহাসকে দুটি ঐতিহাসিক যুগে ভাগ করার শিক্ষা দেয়। প্রথম যুগ নবী এবং রাসুলদের সময়, যা রাসুলের (মুহাম্মদের) মিশনের সাথে শেষ হয়েছে। রাসুলের মৃত্যুর পর শুরু হয়েছিল দ্বিতীয় যুগ এবং সেই যুগে আমরা এখনও বেঁচে আছি। এই দ্বিতীয় যুগে মানবজাতির আর নবী ও রসূলের প্রয়োজন নেই কারণ মানুষ এমন পরিমাণে পরিপক্ক ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে যে, মহাবিশ্বের আইনের অন্বেষণ করতে পারে। মানবাধিকারের সৃষ্টি, দাসত্বের বিলুপ্তি এবং নারীর মুক্তির কথা চিন্তা করুন, এগুলো এই ইঙ্গিত দেয় যে মানব জাতি সভ্যতার একটি নতুন স্তরে পৌঁছেছে।
ঠিক যেইভাবে সপ্তম শতাব্দীর লোকেরা তাদের সমসাময়িক জ্ঞানের সাহায্যে আল্লাহর বইটি বুঝেছিল , তেমনই একবিংশ শতাব্দীতে আমাদের অবশ্যই এখনকার জ্ঞান দিয়ে আল্লাহর কিতাব কোরান বুঝতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি যে পাঠকের পক্ষে একা একাই পাঠ্যটি পড়ার মাধ্যমে কোরানের বক্তব্য জানা ও বোঝা সম্ভব। যাইহোক, ভাষার সীমাবদ্ধতা ও (৩:৭) আয়াত অনুযায়ী কোনও পাঠক কোরানের পাঠ্যটি সম্পূর্ণরূপে বোঝার দাবি করতে পারেন না। মানুষের ঐশীজ্ঞান আংশিক, সীমিত, এবং আপেক্ষিক। কারণ মানব পাঠক সর্বদা যে সময়ে সে বসবাস করে , সেই সময় এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট দ্বারা প্রভাবিত হয়। শেষ ঘন্টার (কেয়ামত) আগমন না হওয়া পর্যন্ত কোরানের বুঝের পরিবর্তন হতেই থাকবে।
No comments:
Post a Comment