Tuesday, April 7, 2020

কোরানের নির্দেশ লঙ্ঘনের ভিত্তি ও সূচনা খোলাফায়ে রাশেদিনের চার খলিফার সময়ে আরব সম্রাজ্য বিস্তার

আবুবকর , ওমর, ওসমান ও আলীর নেতৃত্বে আরবদের যে বিজয়গাথা নিয়ে আজো মুসলমানরা গর্ববোধ করে , সে বিজয় কোরানের সুস্পষ্ট দুটি নির্দেশের লঙ্ঘন। কারন আরবের ভিতরে ও বাইরে যে সকল জনপদ ও রাজ্য তারা আগ্রাসনের মাধ্যমে জয় করেছিল , সেই সকল জনপদ ও রাজ্য কখনোই আরবদের আগে থেকে আক্রমন করেনি। কোরানে শুধুমাত্র আত্মরক্ষার্থে যুদ্ধের অনুমতি দেয়া হয়েছে। কোরানে চারটি হারাম তথা নিষিদ্ধ মাসের উল্লেখ আছে , যে সকল মাসে যুদ্ধ করতে নিষেধ করা হয়েছে। এই খলিফারা কোরানের এই নির্দেশ ও উপেক্ষা করে হারাম এই মাসগুলোতে যুদ্ধ করেছে। আমরা যদি আজকের জমানার ইরাক ইরান যুদ্ধ, আফগানিস্তানের যুদ্ধ , সিরায়ার যুদ্ধের দিকে তাকাই , তাহলে দেখিযে আজকের মুসলমানেরাও হারাম মাসে যুদ্ধ না করার কোরানিক নির্দেশ মানছে না। 
পাঠকরা চলুন কোরানের সেই আয়াতগুলি স্মরন করি যেখানে শুধুমাত্র আত্মরক্ষার্থে যুদ্ধের অনুমতি দেয়া হয়েছে এবং শান্তিপূর্ন জনপদের বিরুদ্ধে আগ্রাসনকে অপরাধ ও গুরুতর পাপ বলা হয়েছে-
২:১৯০ আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে, যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি আগ্রাসন করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না।
৬০:৮-৯ ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন। আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন, যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেছে এবং বহিস্কারকার্যে সহায়তা করেছে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে তারাই জালেম। 
২২:৩৯-৪০ যুদ্ধে অনুমতি দেয়া হল তাদেরকে যাদের সাথে কাফেররা যুদ্ধ করে; কারণ তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে। আল্লাহ তাদেরকে সাহায্য করতে অবশ্যই সক্ষম। যাদেরকে তাদের ঘর-বাড়ী থেকে অন্যায়ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে শুধু এই অপরাধে যে, তারা বলে আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ। আল্লাহ যদি মানবজাতির একদলকে অপর দল দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তবে (খ্রীষ্টানদের) নির্ঝন গির্জা, এবাদত খানা, (ইহুদীদের) উপাসনালয় এবং মসজিদসমূহ বিধ্বস্ত হয়ে যেত, যেগুলাতে আল্লাহর নাম অধিক স্মরণ করা হয়। আল্লাহ নিশ্চয়ই তাদেরকে সাহায্য করবেন, যারা আল্লাহর সাহায্য করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী শক্তিধর।
আগ্রাসন দুরের কথা , বিনা অনুমতিতে অন্যের বাড়িতে প্রবেশ নিষেধ -
২৪:২৭-২৮
হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য গৃহে প্রবেশ করো না, যে পর্যন্ত অনুমতি না চাও এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম না কর। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম, যাতে তোমরা স্মরণ রাখ। যদি তোমরা গৃহে কাউকে না পাও, তবে অনুমতি গ্রহণ না করা পর্যন্ত সেখানে প্রবেশ করো না। যদি তোমাদেরকে বলা হয় ফিরে যাও, তবে ফিরে যাবে। এতে তোমাদের জন্যে অনেক পবিত্রতা আছে এবং তোমরা যা কর, আল্লাহ তা ভালোভাবে জানেন।
২:২১৭ নিষিদ্ধ মাস সম্পর্কে তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে যে, তাতে যুদ্ধ করা কেমন? বলে দাও এতে যুদ্ধ করা ভীষণ বড় পাপ। আর আল্লাহর পথে প্রতিবন্দ্বকতা সৃষ্টি করা এবং কুফরী করা, মসজিদে-হারামের পথে বাধা দেয়া এবং সেখানকার অধিবাসীদেরকে বহিস্কার করা, আল্লাহর নিকট তার চেয়েও বড় পাপ। আর ধর্মের ব্যাপারে ফেতনা সৃষ্টি করা নরহত্যা অপেক্ষাও মহা পাপ। বস্তুতঃ তারা তো সর্বদাই তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকবে, যাতে করে তোমাদিগকে দ্বীন থেকে ফিরিয়ে দিতে পারে যদি সম্ভব হয়। তোমাদের মধ্যে যারা নিজের দ্বীন থেকে ফিরে দাঁড়াবে এবং কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের যাবতীয় আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে। আর তারাই হলো দোযখবাসী। তাতে তারা চিরকাল বাস করবে।

নবী পরবর্তী আরব সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য যে সকল যোদ্ধা বা সাহাবীরা অংশগ্রহন করেছিল , তারা প্রাকইসলাম যূগের পৌত্তলিকদের থেকেও বেশি অবিশ্বাসী ছিল নিষিদ্ধ মাস লঙ্ঘনের ব্যাপারে।
৯:৩৬ নিশ্চয় আল্লাহর বিধান ও গননায় মাস বারটি, আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। তন্মধ্যে চারটি নিষিদ্ধ। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান; সুতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না। আর মুশরিকদের সাথে তোমরা যুদ্ধ কর সমবেতভাবে, যেমন তারাও তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে সমবেতভাবে। আর মনে রেখো, আল্লাহ মুত্তাকীনদের সাথে রয়েছেন।
এর অর্থ দাড়ায় সামরিক আগ্রাসন নিষিদ্ধ, তথাপি মুসলমান্দের বর্নীত ইতিহাস অনুযায়ী মুহম্মদের মৃত্যুর পর পরই ইসলামি সম্রাজ্য প্রসারের জন্য যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল , সে যুদ্ধ ছিল নৃশংস। কোন রকম প্ররোচনা ছাড়াই আরব ও আরবের বাইরের নগর , জনপদ , রাজ্য দখল , সেখানকার নিরীহ অধিবাসীদের হত্যা অথবা দাস দাসী বানানো , লুন্ঠন এ সকলি করেছিল ইসলাম প্রচারের অজুহাতে। যদিও জোর করে ধর্মান্তরিত করার কোন নির্দেশ কোরানে নেই। এবং এ সবি ঘটেছিল খোলাফায়ে রাশেদিনের চার খলিফার নেতৃত্বে এবং সেই ধারাবাহিকতা বজায় ছিল পরবর্তি উমাইয়া , আব্বাসীয় , ফাতেমি ও তুরস্ক ভিত্তিক ইসলামি সম্রাজ্য পর্যন্ত। এই ভয়ঙ্কর পাপ শুরু করেছিল নবীর একান্ত সহচর ও সাহাবিরাই। এরা এমনকি নিষিদ্ধ মাসগুলোতেও যুদ্ধ করেছিল। এরা এই অন্যায় যুদ্ধের নাম দিয়েছে ইসলামি জিহাদ। 
ইসলামপূর্ব আরব পৌত্তলিকরা ও এই চারটি নিষিদ্ধ মাসগুলোকে সম্মান করত এবং এই মাসগুলোতে তারা যুদ্ধ করত না। তবে তাদের অপরাধ ছিল এই মাসগুলোকে তারা ইচ্ছামত পরিবর্তন করত।
৯:৩৭ এই মাস পিছিয়ে দেয়ার কাজ কেবল কুফরীর মাত্রা বৃদ্ধি করে, যার ফলে কাফেরগণ গোমরাহীতে পতিত হয়। এরা হালাল করে নেয় একে এক বছর এবং হারাম করে নেয় অন্য বছর, যাতে তারা গণনা পূর্ণ করে নেয় আল্লাহর নিষিদ্ধ মাসগুলোর। অতঃপর হালাল করে নেয় আল্লাহর হারামকৃত মাসগুলোকে। তাদের মন্দকাজগুলো তাদের জন্যে শোভনীয় করে দেয়া হল। আর আল্লাহ কাফের সম্প্রদায়কে হেদায়েত করেন না।
আবুবকর, ওমর, ওসমান , আলি এরা কি কোরানের এই আয়াতগুলো পড়েনি বা জানত না? অবশ্যই জানত, তবুও তারা ইসলামি জিহাদের নামে সাম্রাজ্যবাদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই কোরান বিরোধী যুদ্ধ করেছিল রাজনৈতিক ও জাগতিক লাভের আশায়। এই যুদ্ধের ফলে তারা অশেষ ধন সম্পদ, ভূমি, দাস দাসী ও ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়। এদেরকে যুদ্ধবাজ নেতা বা warlord বলাই বেশি শ্রেয়। এই পাপের জন্য এরা বা মুসলমানেরা কখনোই অনুতপ্ত তো হয় নি , বরং এখনো গর্ববোধ করে। 
২:২৫৬ দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই।
২৭:৯২ এবং যেন আমি কোরআন পাঠ করে শোনাই। পর যে ব্যক্তি সৎপথে চলে, সে নিজের কল্যাণার্থেই সৎপথে চলে এবং কেউ পথভ্রষ্ট হলে আপনি বলে দিন, আমি তো কেবল একজন ভীতি প্রদর্শনকারী।
৮৮:২১-২২ অতএব, আপনি উপদেশ দিন, আপনি তো কেবল একজন উপদেশদাতা, আপনি তাদের শাসক নন,
১০:৯৯ আর তোমার পরওয়ারদেগার যদি চাইতেন, তবে পৃথিবীর বুকে যারা রয়েছে, তাদের সবাই ঈমান নিয়ে আসতে সমবেতভাবে। তুমি কি মানুষের উপর জবরদস্তী করবে ঈমান আনার জন্য?

চলুন প্রাচীন এক সুন্নী বইয়ের অংশ বিশেষ পর্যালোচনা করি , যার ফলে আমরা প্রমান পাব কিভাবে সুন্নী শরিয়া আইন কোরানের ইসলামের বিপরীত-
আল-ব্লাথারি তার বই "রাজ্য জয়/Conquests of Lands" বইতে বিজীত রাজ্য সমূহে রাজস্ব ও ভূমিকর আইন বিষয়ে বলেছেন , " ১০১৬- আবু ইউসুফ বলেছেন লেভান্ট (ভূমধ্যসাগরের পূর্বতীরের রাজ্য সমূহ), ইরাক এবং অন্যান্য বিজীত রাজ্য সমূহের যে সকল জমি জোরপূর্বক বাজেয়াপ্ত করা হবে তা খলিফা কতৃক বিজয়ী সৈন্যদের মাঝে ভাগ করে দেয়া হবে এবং সেখানকার লোকজন তাদের দাঁস..." এই উদ্ধৃতি থেকে এটাই প্রমানীত হয় যে , সামরিক অভিযানের মাধ্যমে দেশসমূহ দখল করা হয়েছিল একটি মাত্র উদ্দেশ্যে , তা হল লুন্ঠন ও জোরপূর্বক দখল। লেখক যে আবু ইউসুফের কথা উল্লেখ করেছেন, সেই আবু ইউসুফ আব্বাসীয় খেলাফতের শুরুর সময়কালের বিখ্যাত হানাফি ইমাম ও প্রধান বিচারক। এই ফতোয়া দেয়ার সময় তিনি কোন কোরানের আয়াতের উদ্ধৃতি দেন নি। 
২:১৮৮ তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। এবং জনগণের সম্পদের কিয়দংশ জেনে-শুনে পাপ পন্থায় আত্নসাৎ করার উদ্দেশে শাসন কতৃপক্ষের হাতেও তুলে দিও না।

নবীর মৃত্যুর পর পরই কোরানের নির্দেশ অমান্য করে তারই নিকট সহচরদের নেতৃত্বে সাহবীরা আরব ও আরবের বাইরের জনপদ ও রাজ্য নৃশংস সামরিক অভিযানের মাধ্যমে দখল , লুন্ঠন , নিরীহ মানুষকে দাঁস দাঁসী বানিয়ে ভোঁগের উপকরন বানাতে কেন মেতে উঠল? {বলে রাখা ভাল যে কোন যুদ্ধই নৃশংস। যুদ্ধে সর্বকালে সাধারন মানুষই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তারাই জান ও মাল হারায়, এদের বউ বাচ্চারা দাঁস দাঁসী হিসাবে ভোঁগের উপকরন হয়। প্রাচীনকালে সাধারন মানুষের জীবনের কোন দাম ছিল না । প্রাচীন কালের কথাই বা বলি কেন? এই কয়েক বছর আগে আইসিস যোদ্ধারা ইরাকে কিভাবে ইয়াজিদি নারীদের ভোঁগ করেছে সেটাতো আমরা সবাই জানি। যদি কারো মনে মুসলমানদের সামরিক অভিযানের নৃশংসতা নিয়ে কোন সংশয় থাকে , তাহলে মুসলমান ঐতিহাসিকদের লেখা বিজয়ের কাহিনীগুলো পড়ে দেখতে পারেন।}
এর একটা ব্যাখ্যা থাকা উচিৎ। 
কোরায়েশরা মূলত যোদ্ধাবাজ জাতি। সেই সময়ে গোত্রে গোত্রে যুদ্ধ ও জোরপূর্বক দাঁস দাঁসী বানানো সেকালে অহরহ ঘটত , বলা যায় এটাই নিয়ম ছিল। রসূলের সাথে হিজরত করা তার সহচর ও সাহাবী কোরায়েশরা তাদের এই সহজাত স্বভাবকে সাময়িক দমন করে রেখেছিল। রসূলের মৃত্যুর পরে তাদের পূর্বের স্বভাবে ফিরতে দেরি হয় নি। তার নিকট সহচর ও সাহাবীদের মাঝে অনেক মুনাফেক ছিল , যাদেরকে রসূল চিনতেন না। এদের সম্পর্কে আল্লাহ কোরানে সাবধান করে দিয়েছেন। 
৯:১০১ আর তোমার আশ-পাশের আরবদের মধ্যে মুনাফেক আছে এবং কিছু লোক মদীনাবাসী কঠোর মুনাফেকীতে অনঢ়। তুমি তাদের জান না; আমি তাদের জানি। আমি তাদেরকে আযাব দান করব দু’বার, তারপর তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হবে মহান আযাবের দিকে।
একটা জিনিষ খেয়াল করুন। খোলাফায়ে রাশেদীনের চার খলিফার কারো স্বাভাবিক মৃত্যু হয় নি। আবু বকরকে মারা হয়েছিল বিষ প্রয়োগে। কোন কোন ঐতিহাসিকের মতে খালেদ বিন ওয়ালিদকে সরানোর জন্য ওমর আবুবকরকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করেন , কারন আবুবকরের প্রিয় পাত্র ছিলেন খালেদ বিন ওয়ালিদ। খলিফা হয়েই ওমর প্রথম যে কাজটি করেন সেটা হলো যুদ্ধ চলাকালীন খালেদ বিন ওয়ালিদকে প্রধান সেনাপতির পদ থেকে পদচ্যুত করা। কেন ওমর খালেদ বিন ওয়ালিদকে সরানোন জন্য ব্যাস্ত হয়েছিলেন , সে গল্প আরেকদিন। ওমর , ওসমান ও আলী আততায়ীর হাতে নিহত হন।

কোরানে দুই ধরনের যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে। একটি আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ , অপরটি শয়তানের রাস্তায়। কিন্তু কোথাও ইসলাম প্রসার ও প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করতে বলা হয় নি। 
৪:৭৫-৭৬ 
আর তোমাদের কি হল যে, তেমারা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও। যারা ঈমানদার তারা , যে জেহাদ করে আল্লাহর রাহেই। পক্ষান্তরে যারা কাফের তারা লড়াই করে শয়তানের পক্ষে সুতরাং তোমরা জেহাদ করতে থাক শয়তানের পক্ষালম্বনকারীদের বিরুদ্ধে, (দেখবে) শয়তানের চক্রান্ত একান্তই দুর্বল।
শয়তানের পক্ষের যুদ্ধ কোনটি? অন্যায় যুদ্ধ, ক্ষমতার জন্য বিনা প্ররোচনায় দখলের জন্য যুদ্ধ, মানুষের জান মাল হরনের জন্য যুদ্ধ, লুন্ঠন , ধর্ষন, দাঁস দাঁসী বানানোর জন্য যুদ্ধ। 
যতই মুসলমানরা ইসলাম প্রসারের নামে আগ্রাসী এই সকল যুদ্ধগুলোকে রসূলের আদর্শ অনুকরনে করা বলে দাবী করুন না কেন , সত্য হল রসূল কেবল মাত্র আত্মরক্ষার্থে যারা তাকে ও তার অনুসারীদের শুধুমাত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার জন্য দেশ ছাড়া করেছিল , অত্যাচার করত এবং ইসলামকে সমূলে ধংস করতে মুসলমানদের আক্রমন ও ষঢ়যন্ত্র করত , কেবল মাত্র তাদের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করেছিলেন। কারন কোন রসূলের পক্ষে সম্ভব নয় আল্লাহর পরিস্কার নির্দেশের বিপরিত কোন কাজ করা। 
১০:৯৯ আর তোমার পরওয়ারদেগার যদি চাইতেন, তবে পৃথিবীর বুকে যারা রয়েছে, তাদের সবাই ঈমান নিয়ে আসত সমবেতভাবে। তুমি কি মানুষের উপর জবরদস্তী করবে ঈমান আনার জন্য?

ইতিহাস ধর্ম নয়। ধর্মের অনুশাসন নির্ধারিত হয় আল্লাহর নির্দেশের ভিত্তিতে অর্থাৎ কোরানে লিপিবদ্ধ আল্লাহর বাণীর ভিত্তিতে। আল্লাহর বাণী নির্ভুল বলে আমরা সকল মুসলমান বিশ্বাস করি। পক্ষান্তরে ইতিহাস নির্ভুল নয় এবং ইতিহাস লিখিত হয় বিজয়ীর নির্দেশে , বিজয়ীকে মহান প্রতিপন্ন করে। এমনি ভাবে বিজয়ীরা রসূলের মৃত্যুর পরে কোরায়েশদের নেতৃত্বে কোরান বিরোধী ইসলামি সমাজ্যবাদ প্রতিষ্ঠার নায়ক ও সহচরদের মুসলমানদের হৃদয়ে হিরো , মহানায়ক হিসাবে স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। শুধু তাই নয় , রসূলের নামে বানানো মিথ্যা হাদিস ও সুন্নাহর মাধ্যমে কোরানিক ইসলামের পরিবর্তে মানব রচিত ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছে , যেখানে অন্যায় আগ্রাসী যুদ্ধ হয়ে গেছে ধর্ম যুদ্ধ , জিহাদ। 
সূরা আত তওবা (৯) তে আল্লাহ প্রকাশ করেছেন যে বিশ্বাস ও ভাল কাজের ভিত্তিতে রসূলের সঙ্গী বা সাহাবাদের প্রকারভেদ ছিল। স্থানীয় মদিনাবাসী ও হিজরত করে আসা সাহাবীদের মধ্যে কেউ কেউ বিশ্বাস ও ভাল কাজের ব্যাপারে ছিলেন অগ্রগামী , কেউ কেউ ভাল কাজের সাথে মন্দ কাজ মিশিয়ে ফেলতেন এবং এদের তওবা হয়তো বা আল্লাহ কবুল করবেন। আর আছে মুনাফিক। এই মুনাফিক সাহাবারা আবার দুই ধরনের। একদল তাদের কাজ ও ষঢ়যন্ত্রের মাধ্যমে তাদের মুনাফিক চরিত্র প্রকাশ করে ফেলত , আরেকদল তাদের মনোভাব গোপন রাখতে সক্ষম হয়েছিল। আল্লাহ উভয়দলকে পরকালের আযাব সম্পর্কে সাবধান করেছেন। কোরানে এই সকল সাহাবিদের সাধারন বর্ননা এসেছে কোন নাম ধাম ছাড়াই। পক্ষান্তরে ইতিহাসে নাম ধাম , ঘটনা ও কাজের বর্ননা এসেছে , যার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব নয়। আমরা বিচার করব কোরানের আলোকে। 
আরবের সাহাবীরা যে কোরানের নিয়ম কানুন অগ্রাহ্য করে আগ্রাসী হবে ও মুনাফেকি করবে, সে কথা কোরানে পরিস্কার বলা আছে। 
৯:৯৭ আরবরা কুফর ও মোনাফেকীতে অত্যন্ত কঠোর হয়ে থাকে এবং এরা সেসব নীতি-কানুন না শেখারই যোগ্য যা আল্লাহ তা’আলা তাঁর রসূলের উপর নাযিল করেছেন। বস্তুতঃ আল্লাহ সব কিছুই জানেন এবং তিনি অত্যন্ত কুশলী।
৯:৯৯-১০২ আরবদের মধ্যে যারা ঈমান আনে আল্লাহর উপর, কেয়ামত দিনের উপর এবং নিজেদের ব্যয়কে আল্লাহর নৈকট্য এবং রসূলকে সাহায্যের ( وَصَلَوَاتِ) উপায় বলে গণ্য করে। জেনো! তাই হল তাদের ক্ষেত্রে নৈকট্য। আল্লাহ তাদেরকে নিজের রহমতের অন্তর্ভূক্ত করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুনাময়।
এবং হিজরতকারী ও আনছারদের মাঝে দৌড়ে প্রথম এরা এবং যারা তাদের অনুসরণ করেছে, আল্লাহ সে সমস্ত লোকদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে। আর তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন কানন-কুঞ্জ, যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত প্রস্রবণসমূহ। সেখানে তারা থাকবে চিরকাল। এটাই হল মহান কৃতকার্যতা।
আর কিছু কিছু তোমার আশ-পাশের মুনাফেক এবং কিছু লোক মদীনাবাসী কঠোর মুনাফেকীতে অনঢ়। তুমি তাদের জান না; আমি তাদের জানি। আমি তাদেরকে আযাব দান করব দু’বার, তারপর তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হবে মহান আযাবের দিকে।
আর কোন কোন লোক রয়েছে যারা নিজেদের পাপ স্বীকার করেছে, তারা মিশ্রিত করেছে একটি নেককাজ ও অন্য একটি বদকাজ। শীঘ্রই আল্লাহ হয়ত তাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ ক্ষমাশীল করুণাময়।
৩৫:৩১-৩২ আমি আপনার প্রতি যে কিতাব প্রত্যাদেশ করেছি, তা সত্য-পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যায়ন কারী নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে সব জানেন, দেখেন। অতঃপর আমি কিতাবের অধিকারী করেছি তাদেরকে যাদেরকে আমি আমার বান্দাদের মধ্য থেকে মনোনীত করেছি। তাদের কেউ কেউ নিজের প্রতি অত্যাচারী, কেউ মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহর নির্দেশক্রমে কল্যাণের পথে এগিয়ে গেছে। এটাই মহা অনুগ্রহ।



৯:৪০ যদি তোমরা তাকে (রসূলকে) সাহায্য না কর, তবে মনে রেখো, আল্লাহ তার সাহায্য করেছিলেন, যখন তাকে কাফেররা বহিষ্কার করেছিল, তিনি ছিলেন দু’জনের একজন, যখন তারা গুহার মধ্যে ছিলেন। তখন তিনি আপন সঙ্গীকে (সাহাবা) বললেন বিষন্ন হয়ো না, আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন। অতঃপর আল্লাহ তার প্রতি স্বীয় সান্তনা নাযিল করলেন এবং তাঁর সাহায্যে এমন বাহিনী পাঠালেন, যা তোমরা দেখনি। বস্তুতঃ আল্লাহ কাফেরদের মাথা নীচু করে দিলেন আর আল্লাহর কথাই সদা সমুন্নত এবং আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
আগ্রাসী যুদ্ধের খলনায়কদের কিভাবে নায়ক বানানো হয়েছে সেটা বুঝতে হলে উপরের এই আয়াতটির বিশ্লেষন করা দরকার। এই আয়াতটিতে কোন নাম কি আছে? নেই। আল্লাহ কি রসূলের সঙ্গীর (সাহাবা) নাম উল্লেখ করতে পারতেন না? নিশ্চয় পারতেন , কিন্তু করেন নি। কারন আমাদের বিশ্বাস ও ধর্ম পালনের জন্য এই সঙ্গীর নাম জানা গুরুত্বপূর্ন নয়। এই সুযোগটাই নিয়েছে খলিফাদের অনুগ্রহপুষ্ঠ মুসলিম ঐতিহাসিকগন। তাদের দাবীমতে রসূলের ঐ সঙ্গী ছিলেন আবু বকর। 
যদিও মুসলমানরা আবুবকরকে সিদ্দিক (সত্যবাদী) উপাধিতে ভূষিত করেছে, কিন্তু এই আয়াত থেকে জানার উপায় নেই রসূলের এই সঙ্গী তার আজীবনের সাথী / বন্ধু ছিলেন কিনা বা সত্যবাদী অগ্রগামি ধার্মিক ছিলেন কিনা। আয়াতটিতে দেখুন আল্লাহ স্বীয় সান্তনা নাযিল করলেন শুধু রসূলের প্রতি , তার সঙ্গীর প্রতি নয়। সঙ্গীর বিষন্ন হওয়া থেকে ধারনা করা যায় আল্লাহ ও রসূলের প্রতি তার ভরসা খুব দৃঢ় ছিল না। সুতরাং এই উপসংহারে আসা মনে হয় ভুল হবে না যে এই সঙ্গী রসূলের সফর সঙ্গীই ছিলেন , এর বেশি কোন গুরুত্ব তার নেই। 
কোরানে বর্ণীত সঙ্গীরা (সাহাবা) সাধারনত বিপরিত বিশ্বাসে বিশ্বাসী ছিল বা পৌত্তলিক ছিল। একটি মাত্র আয়াতে সম বিশ্বাসে বিশ্বাসীর দেখা মেলে এবং তারা কাফের ছিল -
৫৪:২৯ অতঃপর তারা তাদের সঙ্গীকে ডাকল। সে তাকে ধরল এবং বধ করল। 
বিপরিত বিশ্বাসের সঙ্গীর বর্ননা-
১৮:৩৪-৩৮ সে ফল পেল। অতঃপর কথা প্রসঙ্গে সঙ্গীকে বললঃ আমার ধন-সম্পদ তোমার চাইতে বেশী এবং জনবলে আমি অধিক শক্তিশালী। নিজের প্রতি জুলুম করে সে তার বাগানে প্রবেশ করল। সে বললঃ আমার মনে হয় না যে, এ বাগান কখনও ধ্বংস হয়ে যাবে। এবং আমি মনে করি না যে, কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। যদি কখনও আমার পালনকর্তার কাছে আমাকে পৌঁছে দেয়া হয়, তবে সেখানে এর চাইতে উৎকৃষ্ট পাব। তার সঙ্গী তাকে কথা প্রসঙ্গে বললঃ তুমি তাঁকে অস্বীকার করছ, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে, অতঃপর বীর্য থেকে, অতঃপর র্পূনাঙ্গ করেছেন তোমাকে মানবাকৃতিতে? কিন্তু আমি তো একথাই বলি, আল্লাহই আমার পালনকর্তা এবং আমি কাউকে আমার পালনকর্তার শরীক মানি না।
পৌত্তলিক , কাফের , মুনাফিক , ধার্মিক সকলেই রসূলের সঙ্গী (সাহাবা) ছিল-
৭:১৮৪ তারা কি লক্ষ্য করেনি যে, তাদের সঙ্গীর মস্তিষ্কে কোন বিকৃতি নেই? তিনি তো ভীতি প্রদর্শনকারী প্রকৃষ্টভাবে।
৩৪-৪৬ বলুন, আমি তোমাদেরকে একটি বিষয়ে উপদেশ দিচ্ছিঃ তোমরা আল্লাহর নামে এক একজন করে ও দু, দু জন করে দাঁড়াও, অতঃপর চিন্তা-ভাবনা কর-তোমাদের সঙ্গীর মধ্যে কোন উম্মাদনা নেই। তিনি তো আসন্ন কাঠোর শাস্তি সম্পর্কে তোমাদেরকে সতর্ক করেন মাত্র।
৫৩:২ তোমাদের সংগী পথভ্রষ্ট হননি এবং বিপথগামীও হননি।
কোরানের আয়াত সমূহ পর্যালোচনা করলেএটাই প্রমানিত হয় যে গুহায় রসূলের সঙ্গী (সাহাবা) যদি মুসলমানদের দাবী অনুযায়ী আবুবকর হয়েই থাকেন , তবে তার রসূলের বিপরিত বিশ্বাসে বিশ্বাসী বা সংশয়ী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারন তিনি ছিলেন বিষন্ন এবং আল্লাহ তাকে স্বীয় সান্তনা দেন নাই।



১৮:২৮ আপনি নিজেকে তাদের সংসর্গে আবদ্ধ রাখুন যারা সকাল ও সন্ধ্যায় তাদের পালনকর্তাকে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে আহবান করে এবং আপনি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য কামনা করে তাদের থেকে নিজের দৃষ্টি ফিরিয়ে নেবেন না। যার মনকে আমার স্মরণ থেকে গাফেল করে দিয়েছি, যে, নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে এবং যার কার্য কলাপ হচ্ছে সীমা অতিক্রম করা, আপনি তার অনুগত্য করবেন না।
যারা রসূলের সমালোচনা শুনতে চান না , তারা অনুগ্রহ করে এই পোস্ট পড়বেন না। রসূল আমাদের মতোই মানুষ ছিলেন , দুনিয়ার সৌন্দর্য তাকে ও আকৃষ্ট করত , সমাজের গরিব অগ্রগামী ধার্মিক সাহাবাদের থেকে উচ্চস্তরের ধনী প্রশ্নবিদ্ধ সাহাবীদের সংসর্গ তার বেশি কাম্য ছিল। একারনে আল্লাহ বহু আয়াতের মাধ্যমে রসূলকে এ ব্যাপারে সাবধান করেছেন , তিরস্কার করেছেন। উপরের আয়াতটি মনযোগ দিয়ে পড়লে প্রতীয়মান হয় যে - ১) রসূলকে গরিব সাহাবীদের সঙ্গ বিব্রত করত , তাদেরকে এড়িয়ে চলতেন। ২) সমাজের উপরের স্তরের নেতা ও ধনী প্রশ্নবিদ্ধ সাহাবীদের সাথে বেশি ওঠা বসা করতেন। ৩) এই সকল নেতাদের কথা মানতেন , এদের ধন সম্পদ তাকে আকৃষ্ট করত। ৪) এই নেতাদের মনকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল করে দিয়েছেন এবং এরা নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে এবং যার কার্য কলাপ হচ্ছে সীমা অতিক্রম করা । 
নেতাদের এই যে বর্ননা আমরা কোরান থেকে পাই , তা নবীর মৃত্যু পররবর্তী আরব সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার নায়কদের কথাই স্মরন করিয়ে দেয়। এরা কোরায়েশ , যারা নবুয়্যতের শুরু থেকেই ইসলামের বিরোধীতা করেছে , সাধারন গরিব মুসলমানদের অত্যাচার করেছে , দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে , মুসলমানদের ধ্বংশ করার জন্য যুদ্ধ করেছে আবার ইসলামের নামে আরব সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে তার জাগতিক লাভ ভোগ করেছে। 
২০:১৩১ আমি এদের বিভিন্ন প্রকার লোককে পরীক্ষা করার জন্যে পার্থিবজীবনের সৌন্দর্য স্বরূপ ভোগ-বিলাসের যে উপকরণ দিয়েছি, আপনি সেই সব বস্তুর প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করবেন না। আপনার পালনকর্তার দেয়া রিযিক উৎকৃষ্ট ও অধিক স্থায়ী।
৯:৫৪-৫৫ তাদের অর্থ ব্যয় কবুল না হওয়ার এছাড়া আর কোন কারণ নেই যে, তারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি অবিশ্বাসী, তারা নামাযে আসে অলসতার সাথে ব্যয় করে সঙ্কুচিত মনে। সুতরাং তাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন আপনাকে বিস্মিত না করে। আল্লাহর ইচ্ছা হল এগুলো দ্বারা দুনিয়ার জীবনে তাদের আযাবে নিপতিত রাখা এবং প্রাণবিয়োগ হওয়া কুফরী অবস্থায়।
৯:৮৫ আর বিস্মিত হয়ো না তাদের ধন সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতির দরুন। আল্লাহ তো এই চান যে, এ সবের কারণে তাদেরকে আযাবের ভেতরে রাখবেন দুনিয়ায় এবং তাদের প্রাণ নির্গত হওয়া পর্যন্ত যেন তারা কাফেরই থাকে। 
বারে বারে আল্লাহ রসূলকে একি আদেশ করেছেন , এর অর্থ রসূল বারে বারে একি ভুল করেছেন। 
নিচের আয়াতগুলো পড়ুন ও ভাবুন- ৮০:১-১০
তিনি ভ্রূকুঞ্চিত করলেন এবং মুখ ফিরিয়ে নিলেন। কারণ, তাঁর কাছে এক অন্ধ আগমন করল। আপনি কি জানেন, সে হয়তো পরিশুদ্ধ হত , অথবা উপদেশ গ্রহণ করতো এবং উপদেশ তার উপকার হত। পরন্তু যে বেপরোয়া, আপনি তার চিন্তায় মশগুল। সে শুদ্ধ না হলে আপনার কোন দোষ নেই। যে আপনার কাছে দৌড়ে আসলো এমতাবস্থায় যে, সে ভয় করে, আপনি তাকে অবজ্ঞা করলেন। কখনও এরূপ করবেন না, এটা উপদেশবানী।