Monday, March 5, 2012

গাজ্জালী (১০৫৮-১১১১ খৃঃ) -একের ভিতর দুই

গাজ্জালী একাধারে মোল্লা ও সুফী হওয়ার সুবাদে তাকে একের ভিতর দুই টাইটেল দেয়াটা ভুল কিছু হবে না । মুসলিম জাহানে হুজ্জাতুল ইসলাম 'ইমাম' মুহাম্মদ আবু হামিদ গাজ্জালীর মতো মনীষি আর দ্বিতীয়টি নেই। তিনি 'দরসে নিজামী' র রুপকার এবং বিশেষ করে "এহইয়াউল উলুমদ্দিন" ও 'কিমিয়ায়ে সাদাত' বই দুইটির লেখক হবার সুবাদে আজো মুসলমানরা তার নাম ভক্তিভরে স্মরন করে থাকে। আমাদের এক ইসলামি ওয়েব সাইটের উদ্ধৃতি-

হযরত ইমাম গাজ্জালী (রহ:) যখন "এহইয়াউল উলুমদ্দিন" গ্রন্হটি লিখেছিলেন তখন এ প্রবাদ বাক্যটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল "পৃথিবীর সমস্ত বই যদি ধ্বংশ হয়ে যায় , একমাত্র "এহইয়াউল উলুমদ্দিন" পৃথিবীকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে" ।


এখানে আমি প্রধানত দেখাতে চেষ্টা করব "এহইয়াউল উলুমদ্দিন" বই থেকে কিছু জ্ঞানের অংশ। "এহইয়াউল উলুমদ্দিন" বা 'জ্ঞানের পুনর্জাগরন' বইটি যত পড়া যাবে , ততই জ্ঞানের পুনর্জাগরন না হয়ে সাধারন জ্ঞানের(Common Sense) অপমৃত্যু ঘটবে বলেই মনে হয়। গাজ্জালী সেই সকল মোল্লা ও সুফীদের একজন , যারা কোরানকে পরিত্যাগ করে কোরান বহির্ভূত জ্ঞানকেই গুরুত্ব দিয়েছেন। তার বই "এহইয়াউল উলুমদ্দিন" বইথেকে এর উদাহরন দেয়ার আগে চলুন তার আর এক অমর কীর্তির ব্যাপারে কিছু আলোচনা করা যাক , পাঠকদের বোঝার সুবিধার্তে।



দারসে নিজামী (রূপকার - ইমাম গাজ্জালী)



নিজামুল মুলক্‌ তুসী (১০১৮-১০৯২ খৃঃ) সুলযুক রাজা মালিক শাহ ও তার পরের রাজা আল্প আরসালান দুজনেরই প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তুসী মুসলমানের ছদ্মবেশে একজন জোরোয়াস্ট্রিয়ান বা অগ্নিউপাসক ছিলেন।(Nihaayat-e-Tareekh-Abbasi, Sheikh al-Hafiz Yousuf Naishapuri). ‌তুসী ১০৬৭ খৃঃ বাগদাদে বিখ্যাত নিজামীয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এটাই তৎকালীন ইসলামী বিশ্বের প্রধান বিদ্যাপীঠ ছিল এবং এর আনেক শাখা বিশ্বের বহু জায়গায় ছড়িয়ে ছিল , যেমন খোরাসান , নিশাপুর , দামাস্কাস , বুখারা এবং আরো অনেক জায়গায়। বাগদাদের বিখ্যাত নিজামীয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ছিলেন ইসলাম বিকৃতকারীদের প্রধান 'ইমাম' মুহাম্মদ আবু হামিদ গাজ্জালী , যিনি টুসীর সাথে নিজামী সিলেবাসের প্রবক্তা। গাজ্জালী খুব কটূভাবে রসূল ও তার সাহাবাদের হেয় করেছেন। যেমন তিনি লিখছেন যে , ২য় খলিফা ওমর রোজা ভাঙ্গতেন ইফতারি অর্থাৎ খাদ্য খেয়ে বা পানীয় পান করে নয় , তিনি রোজা ভাঙ্গতেন ৩ জন দাসীর সাথে সঙ্গমের মাধ্যমে। এরকম আরো উজ্জল দৃষ্টান্ত তার "এহইয়াউল উলুমদ্দিন" বইথেকে দেয়ার ইচ্ছা রইল।



১০৬৭ সালে নিজামীয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার থেকে হাজার বছর পেরিয়ে গেছে , কিন্তু আজো বিশ্বের প্রায় সকল মাদ্রাসায় এই দুই ইসলামের ক্রিমিনালের (গাজ্জালী ও টুসী) রুপকৃত সিলেবাস অনুসরন করা হয়ে থাকে। বিশ্ব এখোনো হাজার বছর আগের অবস্থায় দাড়িয়ে হয়ে আছে , কোন অগ্রগতি নেই!! এই সিলেবাস স্টুপিডিটি ছাড়া আর কিছু নয় , এখানে কোরানের আয়াত সম্পর্কে চিন্তার কোন অবকাশ রাখা হয় নি। নির্বোধ বানিয়ে রাখাই এই সিলেবাসের উদ্দেশ্য।



নিজামুল মুলক্‌ তুসীর ষড়যন্ত্র সম্পর্কে জানতে হলে , একটি উদাহরনই যথেষ্ট - প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি দুই রাজাকেই উপদেশ দিয়েছিলেন , বহিশত্রুর আক্রমন থেকে রাজ্যকে রক্ষার জন্য কোন প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির দরকার নেই । কারন তার দাবী ছিল , তার ছাত্রদের তসবিহতে ওজীফা পাঠই সকল শত্রু খতম করা ও দুরে রাখার জন্য যথেষ্ট। ফলাফল নিশ্চয় জানেন। বিধর্মী হালাকু খান কতৃক বাগদাদ ধংস।


এমনকি আজকের জমানাতেও ১৬টি 'উলুম বা বিজ্ঞান' নামে যে অপবিজ্ঞান আমাদের মাদ্রাসাগুলোতে নিজামীয়া সিলেবাস অনুযায়ী পড়ানো হয় , তা একটি ছাত্রের জীবন থেকে অমূল্য ৮টি বছর ধংস করে ফেলছে। মজার ব্যাপার হলো বেশির ভাগ মোল্লাকে যদি জি্জ্ঞাসা করা যায় , ৮টি বছর ধরে তারা যে 'দারসে নিজামিয়া' পড়লো , তার রূপকার কে , তারা বলতে পারবে না।

"তোমরা ঘুনাক্ষরেও কোরান বোঝার চেষ্টা করবে না , তাহলে পথভ্রষ্ট হবে। কোরান বুঝতে হলে ১৫ 'উলুম' বা জ্ঞান জানা প্রয়োজন।" - মাওলানা জাকারিয়া কান্ধালি , ফাজায়েল আমল।




কি সেই 'উলুম' যা না জানলে কোরান বোঝা যাবে না। আসুন গাজ্জালীর "এহইয়াউল উলুমদ্দিন"-ভলুম২ থেকে কিছু জ্ঞান আহরন করি।



" খাওয়া শেষ হলে কাপ প্লেট চেটে , পানি দিয়ে ধুয়ে , সেই পানি খেলে , একটি দাস মুক্ত করার সওয়াব পাওয়া যায়। যে কাপড় বিছিয়ে খাবার খাওয়া হয় , তার উপরে পড়ে থাকা খাবার খেলে জীবন সুন্দর হয় , সন্তানেরা সুস্থ থাকে এবং বেহেস্তের হুরীদের জন্য বিবাহের উপহার হয়।" কি সুন্দর অমূল্য উপহার!!



"আমার শ্রেষ্ঠ বন্ধু সেই , যে বেশি বেশি খায় ও বড় বড় লোকমা খাবার মুখে দেয়।"



"গরুর গোষ্ত রোগ , গরুর দুধ চিকিৎসা" কোরানে কেন যে গরুর গোষ্ত হারাম করা হয় নি?



"হজরত আলী বলেছেন -' যদি তোমরা লবন মুখে দিয়ে সকালের খাওয়া শুরু কর , তাহলে আল্লাহ তোমাদের ৭০টা রোগ বালাই দুর করে দেবেন। হালুয়া মিষ্টি খেলে হোলের বিচি ঝুলে যায়।" আমি আবার মিষ্টি পছন্দ করি। কি যে করি!!



" রোগ শোক মুক্ত সুস্থ জীবন লাভের সর্বোত্তম পন্থা হলো , অল্প বয়সী মেয়ে বিয়ে করা। কখনো কচি মেয়ে ছাড়া বিয়ে করো না।" সর্বরোগের মহৌষধ!!



"জ্ঞানী ব্যক্তিরা ডান পাশ ফিরে ঘুমায় , রাজা বাদশারা বাম পাশ ফিরে ঘুমায় আর শয়তান উপুঢ় হয়ে মুখ নিচের দিকে করে ঘুমায়।" এখন থেকে ডান পাশ ফিরে ঘুমানো প্রাকটিস করা লাগবে!!



" সকালের নাস্তা না খেয়ে গোসল করলে এবং গোসলের পরে নাস্তা করতে দেরি করলে মানুষ মরে যায়। আমি আশ্চর্য হব , যদি এর পরেও মানুষ বেচে থাকে।" এই জ্ঞান লাভের পরে বিজ্ঞানচর্চায় কেনো মুসলমানেরা পিছিয়ে পড়েছে , তা কিছুটা আন্দাজ করা যায়।



"শাবি মাজ বিন জাবল প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুশয্যায় বল্লেন ' আমাকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দাও। আমি অবিবাহিত অবস্থায় আল্লাহর মুখাপেক্ষি হ'তে ঘৃনা বোধ করি'।"

ঐ হবু বিধবার জন্য করুনা ছাড়া আর কিই বা করতে পারি।



"রসূল বলেছেন যে ঘরের কোনায় পড়ে থাকা একটুকরো কম্বল ও বাজা (নিঃসন্তান) স্ত্রীর থেকে উত্তম।"



"একটা হাদীস আছে যে , কালো মহিলা যার সন্তান আছে , সে সুন্দরি সন্তানহীনা মহিলার থেকে উত্তম।" লক্ষ্য করেছেন কি , কালোকে কুশ্রির সমার্থক বলা হয়েছে।



গাজ্জালী আরো বলেছেন , " যখন কোন মানুষের পুরুষাঙ্গ উত্থিত অবস্থায় থাকে , তখন তার মনের দুই তৃতিয়াংশ ও ধর্মের দুই তৃতিয়াংশ তাকে পরিত্যাগ করে।" কি অসাধারন জ্ঞান আমাদের হুজ্জাতুল ইসলাম 'ইমাম' মুহাম্মদ আবু হামিদ গাজ্জালী আমাদেরকে দান করেছেন!!



"জুনাইদ বাগদাদী বলেছেন ' আমাদের খাবার যেমন দরকার , তদ্রুপ সেক্স ও দরকার'।"



গাজ্জালী কতৃক রসূলকে অবমাননার উদাহরন-

"রসূল বাড়ি থেকে বের হয়ে আসলেন। পথে তিনি এক মহিলাকে দেখে তৎক্ষনাত বাড়ি ফিরে গেলেন । বাড়ির ভিতরে যেয়েই তিনি স্ত্রী জয়নবের সাথে যৌনমিলন করলেন। তারপর তিনি বাইরে এসে বল্লেন ,' যখনি পথে কোন নারীর সাথে দেখা হয়, সে নারী শয়তানের ছদ্মবেশে আসে'। " গাজ্জালী বা অন্য কারো পক্ষে কি জানা সম্ভব , রসূল বাড়ির ভিতর ঢুকে কি করেছিলেন? নাকি রসূল কাচের ঘরে বাস করতেন , যে বাইরে থেকে সব কিছু দেখা যায়? আমাদের নবী ও তার অনুসারীদের কি প্রাইভেসী বা সামান্যতম চক্ষু লজ্জা বলতে কিছু ছিল না? আমাদের ঐতিহাসিকরা নবীকে এভাবেই বর্ননা করেছেন যে তিনি তার জীবনের বেশিরভাগ সময় বিছানায় নারীসঙ্গে কাটিয়েছেন। কিন্তু কোরানে কি পাই? রসূল রাতের দুই তৃতিয়াংশ প্রার্থনায় কাটাতেন।


আমাদের মোল্লাদের মাথায় যৌনচিন্তা ছাড়া আর কিছু আছে বলে মনে হয় না। চলবে....।


গাজ্জালী থেকে যৌনজ্ঞান নিয়ে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লেখা যায় , কিন্তু অনেকেরি আপত্তির কারনে আর লিখলাম না। এখন থেকে অনলাইন চেক করা যায় এমন তথ্যই শুধু দিব।



আমাদের এই ব্লগে অনেক অবিবাহিত ভাইরা আছেন , যারা বিবাহে ইচ্ছুক বা অনিচ্ছুক। চলুন গাজ্জালী থেকে বিবাহের উপকারিতা , অপকারিতা ও আদর্শ নারীর পরিচয় জানা যাক , যাদের বিয়ে করলে জীবনে সুখী হবেন।

সুত্র- http://www.banglakitab.com/IhyauUlumuddin/IhyauUlumuddin-ImamGhazzaliRA-Vol-2-Page-214-321.pdf



"বিবাহ করা আল্লাহর এবাদতের জন্য নির্জনবাস অপেক্ষা উত্তম।"



"আমাদের এযূগে বিবাহ না করাই শ্রেয়। আগেকার যূগে এর ফযীলত ছিল। তখন মহিলাদের বদাভ্যাস ছিল না।"



"যার যৌন সামর্থ্য আছে সে যেন বিয়ে করে। কারন , এতে দৃষ্টি বেশি নত থাকে এবং লজ্জাস্থানের অধিক হেফাযত হয়। আর যে বিবাহ করতে না পারে , সে যেন রোজা রাখে। কারন রোজা তার জন্য খাসী হওয়ার সামিল।"



"দুটি বস্তু মানুষের ধর্ম বিনষ্ট করে - লজ্জাস্থান ও পেট।"



"ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলের পত্নি অর্থাৎ আব্দুল্লাহ জননী যেদিন ইন্তেকাল করেন , তার পরের দিন তিনি ২য় বিবাহ করে নেন এবং বলেন : আমার মনে হয় যেন রাতে আমি অবিবাহিত।"



"হযরত আলী অন্য সাহাবীগনের তুলনায় অধিক সংসারত্যাগী ছিলেন। অথচ তার চার জন পত্নী ছিলেন।"



"রসূলে করীম বলেন : ২ শত বছর পরে মানুষের মধ্যে সেই উত্তম হবে যে সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি কম রাখবে। তার না থাকবে স্ত্রী , না বাচ্চা।"



"পুরুষত্বহীন ব্যাক্তির জন্যেও বিবাহ করা মোস্তাহাব।"



"বিবাহের উপকারিতা হচ্ছে চিত্তবিনোদন এবং এর দ্বারা এবাদতে শক্তি সঞ্চয়।"



"বিবাহের কারনে সৃষ্ট ১ম বিপদ হালাল রুজি রোজগারে অক্ষম হওয়া। সে হারাম দ্বারা পরিবার পরিজনদের খাওয়াতে বাধ্য হবে। ফলে নিজে ও ধ্বংস হবে এবং অন্যকেও ধ্বংস করবে। যে অবিবাহিত , সে এই বিপদ থেকে মুক্ত।"



"২য় বিপদ - স্ত্রী পুত্র-পরিজন প্রজাতুল্য। প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার প্রজাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।"



"৩য় বিপদ - স্ত্রী পুত্র-পরিজন মানুষকে আল্লাহর স্মরন থেকে বিরত রাখে এবং দুনিয়াদারীর দিকে ঝুকিয়ে দেয়।"



কেমন কনে?



"কনে সতী ও দ্বীনদার হওয়া উচিৎ। এটা মূলগুন। কনে যদি নিচ জাত , অসতী ও কম দ্বীনদার হয় , তবে বরের দুর্ভোগের অন্ত থাকবে না।"



"৬ প্রকার নারীকে বিবাহ করো না- আন্নানা , মান্নানা , হান্নানা , হাদ্দাকা , বারবাকা ও শাদ্দাকা। এরা হলো , যে সর্বদা কাতরায় ও রোগিনী , সর্বদা বলে এই করেছি সেই করেছি , পূর্বের স্বামী ও সন্তানদের প্রতি আসক্তি , সবকিছুর উপরে লোভ পোষন করে ও পেতে চায় , সারাদিন সাজসজ্জা ও প্রসাধনে মেতে থাকে ও যে খুব বকবক করে।" নারীর এই সকলগুন বিয়ের আগে কিভাবে জানা সম্ভব , সে ব্যাপারে তিনি কোন জ্ঞানদান করেন নি!!



"রুপলাবন্য অন্যতম গুন। এগুনটি এজন্য কাম্য যে , এরফলে স্বামী যিনা থেকে মুক্ত থাকে। স্ত্রী কুশ্রী হলে মানুষ স্বভাবতই অতৃপ্ত থাকে। যার মুখমন্ডল সুশ্রী , তার চরিত্র ও ভাল হয়। এটাই সাধারন নিয়ম।"



গাজ্জালীর স্বপ্নকন্যা - "সুন্দরী , চরিত্রবতী , কালকেশী আনতনয়না , গৌরবর্না ও স্বামীনিবেদিতা স্ত্রী কেউ পেয়ে গেলে সে যেন বেহেশ্তের হুর পেয়ে যায়।"



"৪র্থ গুন মোহরানা কম হওয়া"



"৫ম গুন বন্ধ্যা না হওয়া।" বিয়ের আগে জানার কোন উপায় আছে কি?



"৬ষ্ঠ গুন কুমারী হওয়া।"



"৭ম গুন অভিজাত বংশের দ্বীনদার ও সৎ পরিবারের কনে হওয়া।"



"৮ম গুন নিকটাত্মীয় না হওয়া। এটা কামস্পৃহা হ্রাস করে।"



"রসুলুল্লাহ বলেছেন : কনেকে বিবাহ দেয়ার মানে তাকে বাঁদী করা। অতএব নিজের কন্যাকে কোথায় দিচ্ছ তা দেখে নাও।"



বিবাহিতদের জন্য কিছু উপদেশ-



"স্ত্রীর সাথে সদাচরন করা এবং দয়াপরবশ হয়ে তাদের নিপীড়ন সহ্য করা।"



"পীড়ন সহ্য করা সত্বেও স্ত্রীদের সাথে হাসিতামাশা ও আনন্দ করবে।"



"হযরত হাসান বসরী বলেন : যে ব্যাক্তি স্ত্রৈণ অর্থাৎ স্ত্রী যা চায় তাই করে , আল্লাহ তায়ালা তাকে উপুড় করে দোযখে ফেলে দিবেন। হযরত ওমর বলেন : স্ত্রীদের মর্জির বিপরীত কাজ কর, এতে বরকত হয়। স্ত্রীদের সাথে পরামর্শ কর এবং তারা যে পরামর্শ দেয় তার বিপরীত কর।"



"হাদীসে আছে - স্ত্রীর গোলাম ধ্বংস হোক।"



"স্ত্রীদের লাগাম সামান্য শিথিল করে দিলে তারা পুরুষকে কয়েক হাত হেচড়ে নিয়ে যাবে। পক্ষান্তরে লাগাম টেনে রাখলে ও জায়গামতো কঠোর হলে স্ত্রীরা আয়ত্বে থাকবে।"



"ইমাম শাফেয়ী বলেন : স্ত্রী , খাদেম ও নিবর্তিদের সম্মান করলে তারা তোমাকে অপদস্ত করবে।"



"হযরত ওমর বলতেন : স্ত্রীদেরকে উৎকৃষ্ট পোশাক দিও না , তাহলে গৃহমধ্যে থাকবে। হযরত মুয়ায তার স্ত্রীকে আলো আসার ছিদ্র দিয়ে বাইরে তাকানোর জন্য শাস্তি দিয়েছেন।"



"বর্তমানে বৃদ্ধাদের ছাড়া অন্যদের জন্য মসজিদে যাওয়ার অনুমতি না থাকা উত্তম।"



গাজ্জালীর জ্ঞানের সমুদ্র থেকে অল্প কিছু এখানে উল্লেখ করলাম। যারা উৎসাহী , তারা পুরোটাই পড়ে নিজেকে অশেষ জ্ঞানের অধিকারী করতে পারেন। এ সুযোগ হেলায় হারানো উচিৎ নয়।

No comments:

Post a Comment